বাড়ছে বইয়ের সংখ্যা, সঙ্গে পাঠকও
২৭ মার্চ ২০২১ ২৩:৩২
ঢাকা: শুরুতে যে নিষ্প্রাণ চেহারা নিয়ে শুরু হয়েছির বইমেলা, সে চেহারায় আসছে দ্রুত বদল। বই মেলায় এখন প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে বইয়ে সংখ্যা, সঙ্গে পাঠকও। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৭ মার্চ) মেলায় বই এসেছে ১৭৫টি।
নতুন আসা বইয়ের মধ্যে গল্প-উপন্যাস আছে ৩০টি করে, আর কবিতার বইয়ের সংখ্যা ৪৫টি। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আজকের মেলায় বই এসেছে ১০টি।
এদিকে বইমেলার মূলমঞ্চে আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি’ নামে আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জালাল ফিরোজ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সাব্বির আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন মো. মইনুল কবির।
প্রাবন্ধিক ড. জালাল ফিরোজ বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি কী হবে তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদে দেওয়া তার ভাষণে উল্লেখ করেন। তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও অভিজ্ঞতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের মানুষের চেতনাজগতে যে পরিবর্তন ঘটে তা প্রতিফলিত হয় সংবিধানের মূলনীতিতে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর তার আদর্শের মর্মমূলে আঘাত করার জন্য সংবিধানের মূলনীতিতে প্রথম আঘাত করা হয়। কিন্তু দেশের প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তি, বুদ্ধিজীবী সমাজ এবং অগ্রসর সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ছাত্র-সংগঠনগুলো এর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ফলে ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭২ সালের মূলনীতিসমূহ সংবিধানে ফিরিয়ে আনা হয়।’
আলোচক সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘আমরা জানি সংবিধান একটি জাতির আত্মজীবনীস্বরূপ। একটি রাষ্ট্রের ভেতরকার ক্ষমতার সম্পর্ক কেমন হবে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকে সংবিধানে। আমাদের সংবিধানের মূলনীতিগুলো আকস্মিক কোনো বিষয় ছিল না।’
সভাপতির বক্তব্যে মো. মইনুল কবির বলেন, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র অভ্যুদয়ের খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান পেয়েছি। বাংলাদেশের সংবিধানে জনগণের পরম অভিপ্রায়ের প্রকাশকে মূল্য দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিৎ সংবিধানের মূলনীতিসমূহ ও অন্য সব মহান আদর্শের বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা।’
লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন সাইম রানা, আহমাদ মোস্তফা কামাল এবং সাইফুল ভূঁইয়া।
সারাবাংলা/টিএস/এমও