‘স্বাধীনতা উৎসবে আ.লীগই ক্ষমতায় থাকে, এটাই প্রমাণিত’
২৮ মার্চ ২০২১ ১৬:৪৩
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় আসলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য উৎসবের সময় কিন্তু আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় থাকে। এটা আমাদের আল্লাহর একটা রহমত, আর বাংলাদেশের জনগণের চেতনা যে সব সময় সজাগ এবং তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-আদর্শ বিশ্বাস করে, এটা কিন্তু প্রমাণিত সত্য।’
রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখের বিষয় আমরা স্কুল খুলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমরা সেটা এখন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়াতে আমরা এখন না করে রোজার ঈদের পরে আবার স্কুল-কলেজ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দেব।’
ইতোমধ্যে স্কুল কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সমস্ত হল-ঘরগুলি আছে সেগুলি মেরামত করা, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা এই সুযোগে সে কাজগুলি করে দিচ্ছি। তাছাড়া আমাদের উন্নয়নের কাজগুলি চলতে থাকবে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, তার জন্য যা দরকার, সেটা চলবে।’
‘আমরা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছি এবং ভারতের প্রাইম মিনিস্টার মোদি আমাদেরকে আরও ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছেন।’ এছাড়া ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়া এটা আমাদের কর্তব্য। প্রত্যেকটা মানুষ যেন মাস্ক না পরে বাইরে না যায়। সকলেই যেন মাস্ক পরে। সেটা সকলকেই অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।’
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদযাপন ক্ষমতায় থেকে উদযাপন করার সৌভাগ্যের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সত্যি আমরা খুব আনন্দিত। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করে গেছেন। আমরা যে সুবর্ণজয়ন্তী পালন করার সুযোগ পেলাম এবং জন্মশতবার্ষিকীও আমরা উদযাপন করতে পারলাম।’
‘১৯৯৭ সালে স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকেই কিন্তু এই উৎসবটা আয়োজন করেছিলাম। সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত এবং তুরস্ক (টার্কির প্রেসিডেন্ট সুলেমান) একইসঙ্গে ওইদিন বাংলাদেশে এসেছিলেন। যাদেরকে নিয়ে আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তন স্থাপন করেছিলাম।’
‘কাজেই বাংলাদেশের জনগণ আমাদেরকে সেই সুযোগ দিয়েছিলেন ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করে। একটি বিষয় ঠিকই আমরা লক্ষ্য রাখি যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় আসলেও বাংলাদেশের জন্য স্বাধীনতার জন্য উৎসব সে সময়ে কিন্তু আওয়ামী লীগেই ক্ষমতায় থাকে। আওয়ামী লীগেই সরকারে আছে’-বলেন শেখ হাসিনা।
গণভবন প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ প্রান্তে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি ও হুমায়ুন কবির।
সারাবাংলা/এনআর/এমআই