৭ মাস পর সংক্রমণের হার ছাড়াল ১৭ শতাংশ
২৮ মার্চ ২০২১ ২০:১০
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ হার বাড়ছে বাংলাদেশে। ফেব্রুয়ারিতে দেশে সংক্রমণের হার কমলেও মার্চের এসে সেটি বাড়তে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ মার্চ দেশে ২২ হাজার ১৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তিন হাজার ৯০৮ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়, যা নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এর আগে দেশে ১৭ শতাংশের বেশি সংক্রমণ পাওয়া যায় ৩১ আগস্ট (১৫ দশমিক ৪৫৬ শতাংশ)। তার আগে ২৯ আগস্ট দেশে সংক্রমণের হার ছিল ১৮ দশমিক ২৩১ শতাংশ। পরবর্তীতে এটি কমে এলেও ২১০ দিন অর্থাৎ ৭ মাস পরে সংক্রমণের হার ১৭ শতাংশ ছাড়াল।
রোববার (২৮ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে মারা গেছে ৩৫ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৯০৮টি। বাংলাদেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পরে পঞ্চম সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা এটি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, ২০২০ সালের ২ জুলাই সর্বোচ্চ চার হাজার ১৯ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়, যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি আরটি-পিসিআর, জিন-এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন মিলিয়ে মোট ২২৪টি ল্যাবরেটরিতে ২২ হাজার ৪২৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই সময়ে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২২ হাজার ১৩৬টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় যেসব নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, এর মধ্যে ৩ হাজার ৯০৮ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৪ জনের মধ্যে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে শনাক্তের সংখ্যা ১২ দশমিক ৯৮।
এদিকে, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৯ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হলেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৪১ জন। সংক্রমণ শনাক্তের বিপরীতে সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৫ জন করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন। এই ৩৫ জনের মধ্যে ২১ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে মোট ৮ হাজার ৯০৪ জন করোনায় মারা গেলেন।
বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ২১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী পাঁচজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ছয়জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী তিনজন। বিভাগওয়ারি মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকায় ২৫ জন, চট্টগ্রামে দুইজন, রাজশাহীতে দুইজন, খুলনায় একজন, বরিশালে পাঁচজন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, রোববার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন মোট ৬৬ লাখ ৮৩ হাজার ৮৯৩ জন। অন্যদিকে, শনিবার (২৭ মার্চ) পর্যন্ত দেশে এই ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা পেরিয়ে গেছে অর্ধ কোটি। এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৫২ লাখ ৪ হাজার ৮২৪ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম