ভারত চাইলেই সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে পারে
২৮ মার্চ ২০২১ ২২:৩১
ঢাকা: সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বদিচ্ছাই যথেষ্ট বলে মনে করছেন ঢাকার বিশেষজ্ঞরা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে এসে শনিবার (২৭ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে করেছেন। ওই বৈঠকে তিনি বলেন, সীমান্তে অবাধ বাণিজ্য হলে এবং সেজন্য প্রচুর হাট চালু করতে পারলে বর্ডার কিলিংয়ের মতো ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।— ওইদিন বৈঠক নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদির কাছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সীমান্ত হত্যার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এর সমাধানের কথা বলেছেন। তখন নরেন্দ্র মোদি আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন যে, সীমান্তে হাট তৈরি করা গেলে এ সমস্যার অনেকখানি সমাধান হবে। হাটের মাধ্যমে সীমান্তে ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থাৎ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলমান থাকলে বর্ডার কিলিং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেই সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে পারে। তারা কেন চায় না সেটা জানি না। এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা বলেছিলেন যে, সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষের পাশাপাশি ভারতীয়রাও হত্যার শিকার হচ্ছে। কিন্তু এগুলো অদ্ভুত যুক্তি।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি বলেছেন যে, বর্ডার হাট বাড়লে সীমান্ত হত্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে। কিন্তু আমি মনে করি, এতে কোনো সমাধান আসবে না। কেননা বাংলাদেশিরা সীমান্তের কাছে গরুকে ঘাস খাওয়াতে গেলেও হত্যার শিকার হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে খোড়া যুক্তি দেখানো হচ্ছে। মূল সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসে বলেছিলেন যে, সীমান্তে নো ক্রাইম, নো কিলিং। এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলাদা পথে সমাধানের কথা বললেন। এখনও সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাব বাস্তবে কীভাবে কাজ করে তা না দেখে বলা যাবে না।’
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘এই বিষয়ে সবধরনের ব্যবস্থাই নিতে হবে। তারপর দেখতে হবে কোনটা কাজ করবে।’
সারাবাংলা/জেআইএল/পিটিএম