সৌদিতে কাজ করতে লাগবে দক্ষতা পরীক্ষা
২৯ মার্চ ২০২১ ১১:৫৩
৭০ বছরের পুরাতন কাফালা পদ্ধতির বিলুপ্তির পর সৌদি আরব কর্মদক্ষতাহীন জনশক্তি ছাঁটাইয়ে নতুন আইন প্রণয়ন করেছে। ২০২১ সালের জুলাই থেকে আইনটি কার্যকর হবে। এর অধীনে দেশটিতে প্রফেশনাল ভিসায় অবস্থানকারীদের কর্মদক্ষতা প্রমাণে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এছাড়াও, যারা নতুন করে প্রফেশনাল ভিসায় সৌদি আরব যেতে চান তাদেরকেও এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবলমাত্র সৌদিতে কাজ করার অনুমতি মিলবে। খবর আরব নিউজ।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিকিৎসক-নার্স-শিক্ষক-প্রকৌশলী-হিসাবরক্ষকসহ বিভিন্ন দাফতরিক পেশায় নিয়োজিতদের দক্ষতার পরীক্ষা নেওয়া হবে আরবি, ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু ও ফিলিপিনো এই পাঁচ ভাষায়। পরীক্ষায় অংশ নিতে এর যে কোনো একটি ভাষা।
এদিকে, নতুন এই আইন প্রণয়নের পর পরই সৌদির পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং শ্রীলঙ্কা দূতাবাস তাদের নাগরিকদের জন্য পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এসপিএ।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, সৌদি আরব সরকারের ভিশন ২০৩০ অনুযায়ী দেশটির শ্রমবাজারে ৭০ শতাংশ নিজস্ব নাগরিকদের যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর সে কারণেই অদক্ষ শ্রমশক্তি ছাঁটাই করে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবে কর্মরত অধিকাংশ বাংলাদেশি শ্রমিক অদক্ষ বা স্বল্প দক্ষ। জুলাই থেকে দক্ষতা পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয়। ওই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে পেশাদারিত্ব যাচাইকরণ। সব অভিবাসী পেশাজীবীর ব্যবহারিক ও তত্ত্বীয় পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সারাবাংলা/একেএম
আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারে দক্ষ জনশক্তি বাংলাদেশ বাংলাদেশি শ্রমশক্তি সৌদি আরব