সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে নির্মাণাধীন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সিঁড়ির পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া নিহত কিশোরের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত কিশোরের নাম অনিক চন্দ্র ব্রহ্ম। সে জেলার সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।
সোমবার (২৯ মার্চ) সকালে খবর পেয়ে নিহত কিশোরের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। অনিক তাহিরপুর উপজেলার তেলিগাঁও গ্রামের প্রদীপ ব্রহ্ম ও অঞ্জনা রানী পালের ছেলে। এর আগে, গত রোববার (২৮ মার্চ) নির্মাণাধীন আদালত ভবনের সিঁড়ির পাশ থেকে অজ্ঞাত হিসাবে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রোববার বেলা ১২টায় সুনামগঞ্জ শহরের পশ্চিম নতুনপাড়া এলাকার বাসা থেকে বের হয় অনিক। এরপর বিকাল পর্যন্ত সে বাসায় ফিরেনি। বাসার লোকজন অনিকের ফিরতে বিলম্ব হওয়ায় প্রথম ভাবেন, সে হয়তো দোল পূর্নিমার কোনো আয়োজনে গেছে। পরে রাতেও না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়েন তারা। ভোর থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। সোমবার সকাল ৬টায় খবর পান গতকাল রোববার বিকালে নতুন কোর্ট ভবন থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে হাসপাতালে গিয়ে নিহত অনিকের লাশ শনাক্ত করেন তারা।
অনিকের বাবা প্রদীপ ব্রহ্ম বলেন, চার ছেলেকে পড়াশুনা করানোর জন্য শহরে এসে ভাড়া বাসায় থাকছি। আমার ছেলে শহরের অলিগলি-রাস্তাঘাটই ভালো করে চিনে না। কারও সঙ্গে তার বা তার ছেলের কোনো বিরোধ নেই। কারা এমন নির্মম ঘটনাটি ঘটিয়ে তার সর্বনাশ করে দিল, কারা আমার ছেলেকে হত্যা করল— আমি তা জানতে চাই।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে আদালত ভবন থেকে যুবকের লাশ উদ্বার
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি শহীদুর রহমান বলেন, রোববার বিকালে অজ্ঞাত অবস্থায় এই কিশোরের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। আজ (সোমবার) তার পরিচয় মিলেছে। সে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। নিবিরভাবে বিষটির তদন্ত করছে পুলিশ।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানালেন, অনিকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।