ঢাকা: পোশাক খাতের উন্নয়নের ধারবাহিকতা অব্যাহত রাখতে ফোরামের নেতৃত্বাধীন প্যানেলকেই জয়ী করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন বিজিএমইএ-এর বর্তমান সভাপতি ড. রুবানা হক।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ফোরামের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এবারের নির্বাচনে ফোরামের প্যানেল লিডার হিসাবে আছেন এ বি এম সামছুদ্দিন। এছাড়া ড. রুবানা হকও ফোরামের হয়ে নির্বাচন করছেন।
ড. রুবানা হক বলেন, ‘আমরা ১৩টি যায়গায় ফোকাস করেছি। ১৩টি যায়গায় ১৩টি ক্ষেত্রে কাজ করবো। আমরা যে কাজ করেছি তার যেন ধারাবাহিকতা থাকে, সে জন্যই কিন্তু ফোরামের হয়ে আমি নির্বাচনে আছি। আমি দাঁড়িয়েছি, যাতে এই প্রক্রিয়াগুলো চলমান থাকে।‘
তিনি বলেন, ‘বিজিএমইএ তো শুধু ফায়ার ফাইটিং এর যায়গা না। একটি গণ্ডগোল হল ছুটে চলে গেলাম তা নয়। এটার দীর্ঘমেয়াদী ভিশন সেট থাকা প্রয়োজন। এখানে প্রত্যেকদিনের যুদ্ধে থাকতে হয়। করোনার কারণে আমরা এক বছর পিছিয়ে গেছি। করোনাকালীন সময়ে আমাদের অনেক ফায়ার ফাইটিং করতে হয়েছে। সাসটেইনেবল ইন্ড্রাস্ট্রির জন্য এবং সামনে যাওয়ার জন্য একটা পরিষদের কনটিনিউয়েশন থাকা দরকার। আমি মনে করি আমাদের পরিষদ জয়ী হলে পরবর্তী সভাপতিকে আমি আমার যায়গা থেকে সাহায্য করতে পারবো।’
২০২১-২০২৩ মেয়াদের বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের টেকসই পোশাক শিল্প গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছে ফোরাম।
ভাবমূর্তি, ব্যবসা পরিচালন ব্যয় কমানো এবং সহজীকরণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, রুগ্ন শিল্প ও এক্সিট পলিসি, পণ্যের দাম ও ক্রেতার জবাবদিহিতা, শিল্পের নিরাপত্তা ও নিজস্ব সক্ষমতা, বাজার সম্প্রসারণ, প্রযুক্তি সক্ষমতা, এলডিসি গ্রাজুয়েশন, দক্ষতা ও উদ্ভাবন, সাসটেইনেবিলিটি ও এসডিজি, শ্রমিককল্যাণ এবং স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন বিজিএমইএ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে এই ইশতেহার ঘোষণা করেছে প্যানেল।
এবারের নির্বাচনে তিনটি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও সম্মিলিত পরিষদ ও স্বাধীনতা পরিষদ এক হয়ে কাজ করছে। সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্বে দিচ্ছেন ফারুক হাসান। স্বাধীনতা পরিষদের ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স কারখানার মালিক জাহাঙ্গীর আলমও এই প্যানেল থেকেই নির্বাচন করছেন।