ডি-৮ এর মাধ্যমে কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও সুসংহত করতে চায় সরকার
৩১ মার্চ ২০২১ ১৭:৫৪
ঢাকা: আগামী ৫ থেকে ৮ এপ্রিল ভার্চুয়াল মাধ্যমে উন্নয়নশীল ৮ দেশের জোট বা ডি-এইট রাষ্ট্রগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের দশম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ এবারের সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ। এই সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি বিনির্মান, স্বার্থ সংরক্ষণ ও বিশ্ব পরিমণ্ডলে নিজেদের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও সুসংহত, বাণিজ্য-বিনিয়োগ, তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে চায় সরকার।
আসন্ন ডি-৮ সম্মেলন উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার (৩১ মার্চ) প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন এবং আগামী দুই বছর ডি-৮ এর চেয়ার এর দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নের অভাবনীয় সাফল্যগাঁথা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া এর মাধ্যমে শুধু ডি-৮ এ নয় বরং সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনির্মান, স্বার্থ সংরক্ষণ ও বিশ্ব পরিমণ্ডেলে নিজেদের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও সুসংহত করা সম্ভব হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেই সঙ্গে ডি-৮-এর চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ, অন্যান্য ডি-৮ ভুক্ত দেশসমূহের সহযোগিতায় ডি-৮ এর অব্যবহৃত সম্ভাবনাসমূহকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতাকে এক নতুন মাত্রায় উন্নীত করতেও সক্ষম হবে। এছাড়া ডি-৮ ভুক্ত দেশসমূহ থেকে বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণেও বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গৃহীত ‘রূপকল্প-২০২১’ এর মাধ্যমে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ‘রূপকল্প-২০৪১’ এর মাধ্যমে একটি উন্নত দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় গ্রহণ করা বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ, বিশ্বশান্তি রক্ষায় অংশগ্রহণ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সফলতা, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়া এবং কোভিড মহামারির পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা ও রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। কোভিড মহামারির মধ্যেও গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫.২৪ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ডি-৮ যুব সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, এ যুব সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ডি-৮ সদস্যভুক্ত অন্যান্য দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে। আমরা প্রত্যাশা করছি এ সম্মেলনে অর্জিত অভিজ্ঞতা তরুণ বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের নতুন উদ্ভাবনী চিন্তা এবং উদ্যোগ গ্রহণে ভবিষ্যতে সহায়তা করবে।
সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই