Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ভারতে মাদক ছাড়া সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ এপ্রিল ২০২১ ১৩:৩৮

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সব থেকে নিকটতম বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সরকার নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টার ফলে তামাক মদ ও মাদক জাতীয় ২৫টি পণ্য ছাড়া বাংলাদেশের সকল পণ্য এসএএফটিএ’র আওতায় ভারতে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা লাভ করেছে।’

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আ কা ম সরোয়ার জাহানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৭২ সালে একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যা আরও যুগোপযোগী করে সংশোধনপূর্বক ২০১৫ সালে নবায়ন করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাবার লক্ষ্যে দেশটির সঙ্গে একটি কম্প্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) সম্পাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাবার লক্ষে দেশটির সঙ্গে একটি কম্প্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) সম্পাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ (এসএএফটিএ) চুক্তির আওতায় ভারতে তামাক ও মদ জাতীয় পণ্য ছাড়া সকল পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে।’

দুই দেশের বাণিজ্যচিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবছরে ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৮ হাজার ৯৪৭ দশমিক ৭১ কোটি টাকা এবং ভারতে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ২৯৫ দশমিক ১১ কোটি টাকা। অর্থাৎ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৬৫২ দশমিক ৬০ কোটি টাকা।’

বিজ্ঞাপন

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি দূর করণের পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন আঞ্চলিক জোট ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় ভারতে রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশের সকল রফতানিপণ্যের ভারতের বাজারে বিনাশুল্কে প্রবেশের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টার ফলে তামাক মদ ও মাদক জাতীয় ২৫টি পণ্য ছাড়া বাংলাদেশের সকল পণ্য এসএএফটিএ আওতায় ভারতের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা লাভ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশি পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে অশুল্ক বাধা সমূহ দূরীকরার লক্ষ্যে দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী বাণিজ্য সচিব এবং ওয়ার্কিং গ্রুপ পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক সভা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে চারটি বর্ডার হাট স্থাপন ও কার্যকর করা হয়েছে এবং আরও ১২টি বর্ডার হাটে স্থাপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (ট্রেড এগ্রিমেন্ট বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া) যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৬ জুন তৃতীয় দেশে পণ্য পরিবহনের সুবিধায় রেখে চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক অধিকতর বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ভারতের সঙ্গে কম্প্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত গ্রহণ করা হয়েছে। স্থল বন্দরের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের পাশাপাশি রেলপথে পণ্য পরিবহনে সহায়তা বৃদ্ধি এবং তার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’

শুধু তাই না ভারতসহ ভুটান এবং নেপালের মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পণ্য পরিবহন সংক্রান্ত বাংলাদেশ ভুটান ভারত নেপাল (বিবিআইএন) মোটর ভেহিকেল এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে। পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার (বিসিআইএম) আঞ্চলিক বাণিজ্য জোট গঠণ করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমআই

টিপু মুনশি ভারত মাদক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর