Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ নয়, পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করছে কক্সবাজার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১ এপ্রিল ২০২১ ১৩:৪০

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত [ফাইল ছবি]

ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি মোকাবিলায় এরই মধ্যে দেশের তিন পার্বত্য জেলার সব পর্যটেনকন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলো। একই ঘোষণা দিয়েছে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনও। এ পরিস্থিতিতেও এখনো পর্যটনকেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি দেশে পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন। তবে এই জেলায় ভ্রমণে আসতে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে সারাবাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক এ কথা বলেন। সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে তারপরই এই জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ সারাবাংলাকে বলেন, আমরা এখনো পর্যটনকেন্দ্র বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে আমরা পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করছি। সব জায়গায় যেন স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হয়, সেটি নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।

কক্সবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হবে কি না— জানতে চাইলে মামুনুর রশীদ বলেন, এটি একক সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। আমাদের অনেক অংশীজন (স্টেকহোল্ডার) রয়েছেন। এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব, জেলা প্রশাসনসহ পর্যটন ব্যবসায়ী এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সরকার ঘোষিত ১৮ দফা অনুসরণ করা হচ্ছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সরকার করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা সেই নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করার জন্য কাজ করছি। আমরা কেবল নির্দেশনা দিয়েই বসে নেই, এ নির্দেশনাগুলো সবাই পালন করছে কি না, সেটি নিশ্চিত করতে কঠোর মনিটরিংও চলছে।

জনগণের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের মনিটরিং কিভাবে করা হচ্ছে— এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা কেবল এখন নয়, আগে থেকেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। কেউ মাস্ক না পরলে কিংবা স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা হোটেল-মোটেলগুলোতেও সবসময় পর্যবেক্ষণ করছি।

এর আগে, মার্চের শেষের দিক থেকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, এই মাসের শেষ ১০ দিনে যে পরিমাণ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, তা গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের মোট শনাক্ত হওয়া সংক্রমণের চেয়েও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে অবহেলার কারণেই সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতি।

বিজ্ঞাপন

এ পরিস্থিতিতে গত ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেশব্যাপী কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য ১৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই নির্দেশনায় যেকোনো ধরনের জনসমাগম এড়াতে বলা হয়েছে, অফিস-কারখানা চালাতে বলা হয়েছে অর্ধেক জনবল দিয়ে, গণপরিবহনগুলোতে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করতে বলা হয়েছে।

এ অবস্থায় বুধবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যার পর দেশের তিন পার্বত্য জেলা— রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান ছাড়াও মৌলভীবাজারসহ আরও কয়েকটি জেলাতে সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধের ঘোষণা দেয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলো।

সারাবাংলা/টিআর

১৮ দফা নির্দেশনা টপ নিউজ পর্যটকদের নিরুৎসাহিত পর্যটনকেন্দ্র

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সিনিয়র সাংবাদিক বদিউল আলম আর নেই
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩১

সম্পর্কিত খবর