ঢাকা: জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুল জারি থাকা অবস্থায় আবারও জামিন আবেদন করায় বগুড়ার বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার আগামী ছয় মাস দেশের কোনো আদালতে জামিন চাইতে পারবেন না। একইসঙ্গে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জনের মামলায় তার জামিনের বিষয়ে রুল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া নতুন করে করা জামিন আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাজ্জাদ হোসাইন। আসামিপক্ষে ছিলেন শাহ আলম সরকার। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পি।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পি বলেন, ‘রুল জারি থাকা অবস্থায় আবারও জামিন আবেদন করায় আগামী ছয় মাস দেশের কোন আদালতে জামিন চাইতে পারবে না। একই আগের জারি করা রুল এবং বর্তমান জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।’
এর আগে, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জনের মামলায় বগুড়ার বহুল আলোচিত বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এ রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় একই বেঞ্চে গত ৯ মার্চ জামিন চেয়ে নতুন করে আবেদন করেন তুফান সরকার। বিষয়টি আদালতের নজরে এলে তুফান সরকার ৬ মাস কোনো আদালতে জামিন চাইতে পারবেন না বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
তুফান সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় বলা হয়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে এক কোটি ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮শ ৮৫ টাকা অর্জন করেছেন তুফান সরকার। যা তার আয়কর রিটার্নে দেখিয়েছেন। বাস্তবে আসামি তুফান সরকারের আয়ের কোনো বৈধ উৎস ছিল না।
বগুড়ায় মা ও মেয়েকে নির্যাতনের পর মায়ের মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগের মামলায় ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই থেকে তিনি কারাবন্দি। এরইমধ্যে এ মামলায় হাইকোর্ট তার জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন। এর বাইরে তার বিরুদ্ধে দুদক জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে।
