বাঘাইছড়িতে সহযোদ্ধার গুলিতে জনসংহতির কর্মী খুন
৩১ মার্চ ২০২১ ১৪:৩২
রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় নিজ দলের সহযোদ্ধার হাতে খুন হয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কর্মী বিশ্বমিত্র চাকমা (৩৫)।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতের পর উপজেলার সংগঠনটির নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসেবে পরিচিত বাবুপাড়া এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও সকালে জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা বলেন, নিহত বিশ্বমিত্র আমাদের দলের রাজনীতিতে যুক্ত। হত্যাকারী সুজনও আমাদের কর্মী ছিল। কিন্তু সুজন গোপনে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির সঙ্গে যে আঁতাত করেছিল, সেটা আমরা জানতাম না। গত রাতে একসঙ্গে থাকাকালে সে বিশ্বমিত্র চাকমাকে (যুদ্ধ) গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে গিয়ে সন্তু লারমার দলে যোগ দিয়েছি বলে জেনেছি।
নিহত বিশ্বমিত্র চাকমা সহযোগী সংগঠন ‘যুব সমিতি’র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছেন সুদর্শন চাকমা।
তবে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ত্রিদিব চাকমা বলেন, ‘আমরা এসবের কিছুই জানি না। এটা তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়।’
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) অভ্যন্তরীণ বিরোধে একজন মারা যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করি। মরদেহটি পোস্টমর্টেমের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে নিহতের স্বজনরা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। মামলার পর আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
এদিকে, স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নিহত বিশ্বমিত্র ও হত্যাকারী সুজন দু’জনই সংগঠনটির সশস্ত্র শাখার কর্মী এবং মঙ্গলবার রাতে একই স্থানে সশস্ত্র পাহারা দেওয়ার সময় সুজন আকস্মিকভাবে টহল দলের কমান্ডার বিশ্বমিত্র চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে এবং একাধিক ভারী অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে গিয়ে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র শাখায় যোগ দেন সুজন।
নিহত বিশ্বমিত্র চাকমাও একসময় সন্তু লারমার দল ছেড়ে জনসংহতি সমিতিতে (এমএনলারমা) যোগ দিয়েছিলেন।
সারাবাংলা/টিআর