শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ‘আইসিইউ’ সংকট
৩ এপ্রিল ২০২১ ১৯:১৩
বরিশাল: জেলার শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আইসিইউ বেডের চরম সংকট চলছে। ১২টি আইসিইউ বেডের সবগুলোতেই মুমূর্ষু রোগী চিকিৎসাধীন। আরও অন্তত ২০ জন মুমূর্ষ রোগী আছেন যাদের জরুরি আইসিইউ সেবা প্রয়োজন। এরমধ্যেও করোনা উপসর্গ নিয়ে গড়ে ২০ জন রোগী প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছেন করোনা ওয়ার্ডে।
অথচ ওই ওয়ার্ডে নেই স্থায়ী কোনো চিকিৎসক। ধার করা চিকিৎসক দিয়ে সাধ্যমতো আইসিইউ সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান।
শনিবার (৩ মার্চ) দুপুর ২টা পর্যন্ত এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১১৮ জন রোগী। এরমধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২১ জনের। মোট ১২টি আইসিইউ বেডের সবগুলোই রোগীতে পরিপূর্ণ। আরও অন্তত ২০ জন আছেন যাদের জরুরি আইসিইউ সেবা প্রয়োজন। কিন্তু বেড না থাকায় তারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৭০ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩০ জনের।
জানা গেছে, এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ১৫০টি। করোনা ওয়ার্ডের আইসিইউতে ৩ শিফটে মাত্র ৩ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে ৩ শিফটে দায়িত্ব পালন করছেন ১৫ জন চিকিৎসক। যা প্রয়োজনের তুলানায় ৬০ ভাগ মাত্র বলে জানিয়েছেন সহকারী পরিচালক ডা. মো. মনিরুজ্জামান।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কিংবা রোগীর সহায়তার জন্য এই ওয়ার্ডে নেই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। পেটে ভাতে নামমাত্র রোগীর সেবা করেন বহিরাগত অন্তত ২০ জন নারী। দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সামনে চলছে বহিরাগত সেবা। এই অবস্থায় রোগীর চাপ বাড়লে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘২০২০ সালের মার্চে এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা যায় ১ জন। রোগী ভর্তি ছিলো ৮ জন। অথচ এই মার্চে করোনা ওয়ার্ডে মারা গেছে ৩২ জন এবং রোগী ভর্তি ছিল ৩৫১ জন।’ এই পরিস্থিতিকে ভয়াবহ উল্লেখ করে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি। আগামীতে রোগীর চাপ বাড়লে করোনা ওয়ার্ডে মানবিক বিপর্যয় হওয়ারও আশংকা করছেন তিনি।
সারাবাংলা/এমও