নারীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে
৪ এপ্রিল ২০২১ ০৮:৩৫
ঢাকা: মেয়াদ বাড়ছে নারীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্পের। এক্ষেত্রে দুই বছর বাড়িয়ে প্রকল্পটির তৃতীয় সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এ নিয়ে গত ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় ‘জেলাভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ (৬৪ জেলা)’ শীর্ষক প্রকল্পের পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম।
সম্প্রতি জারি করা সভার কার্যবিবরণী সারাবাংলার কাছে রয়েছে।
প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে- প্রশিক্ষণ দেওয়া, অফিস ভাড়া, কাঁচামাল ও খুচরা যন্ত্রাংশ, স্টেশনারি, কম্পিউটার সামগ্রী, আসবাবপত্র কেনা এবং যানবাহন মেরামত ইত্যাদি।
কার্যবিবরণীটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রকল্পটি সংশোধন না করে নতুন প্রকল্প নেওয়ার বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়।
সভায় জাতীয় মহিলা সংস্থার প্রতিনিধি জানান, প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নতুন প্রকল্প না নিয়ে প্রকল্পটি তৃতীয় সংশোধনের মাধ্যমে প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধি এবং এ দুই বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জাতীয় মহিলা সংস্থার নিয়মিত কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
অন্যদিকে, প্রকল্পটি অত্যন্ত কার্যকর ও যুগোপযোগী তাই প্রস্তাবিত সংশোধিত প্রকল্পটি অনুমোদনের পক্ষে মত প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া প্রকল্পের ইন্টার্নি খাতে ১ কোটি ৬১ লাখ ১৮ হাজার টাকা, অফিস ভাড়া খাতে ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা এবং কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ খাতে ৫ কোটি ১৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়। এই খাতগুলো যৌক্তিকভাবে ব্যয় প্রাক্কলন করার জন্য বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধন প্রস্তাবে ৩১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৫টি এসি, ৪৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ৬৪টি জেনারেটর, ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ডিজিটাল ক্যামেরা এবং একটি ফ্রিজ ও ওভেন ক্রয়ের সংস্থান রাখা হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, প্রকল্পের প্রকিউরমেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী এরমধ্যে প্রকল্পের আওতায় এ সব পণ্য কেনা হয়েছে।
সভায় আরও বলা হয়, প্রকল্পের বেশিরভাগ প্রশিক্ষণার্থী স্নাতক পর্যায়ের হওয়ায় ইংরেজি কোর্সেও মডিউল আপগ্রেড এবং প্রকল্পের এলাকাভিত্তিক ব্যয় বড় ছোট সব জেলায় একই পরিমাণ নির্ধারণ করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রকল্প পরিচালক জানান, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মডিউল অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাই বোর্ডের সম্মতি ছাড়া তা পরিবর্তন সম্ভব নয়। সব জেলায় প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা সমান হওয়ার কারণে ব্যয় প্রাক্কলন সমানভাবে করা হয়েছে।
আর্থ-সামাজিক বিভাগের ‘স্কাইসোয়াম উইং’য়ের যুগ্মপ্রধান বলেন, ‘প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে নারীদের মানবসম্পদে পরিণত করা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।’
প্রকল্পটির সংশোধিত প্রাক্কলিত মোট ব্যয় ১১৮ কোটি ৭৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং মেয়াদ ২ বছর অর্থাৎ ২০২৩ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে তৃতীয় সংশোধন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/জেজে/এমও
জাতীয় মহিলা সংস্থা জেলাভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা কমিশন পিইসি