স্ত্রী হত্যা মামলায় ২৩ বছর পর স্বামীর জামিন
৪ এপ্রিল ২০২১ ১৭:২৩
ঢাকা: স্ত্রী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী নুরুল ইসলামকে সাড়ে ২৩ বছর পর জামিন দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। নুরুল ইসলাম সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ১৯৯৬ সালের ২৪ জুন নিজ স্ত্রী জোহরাকে ভাড়া করা খুনি দিয়ে হত্যা করান।
রোববার (৪ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আর আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শাহ আলম সরকার।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, `স্ত্রী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নুরুল ইসলামের সাজা খাটা শেষের দিকে থাকায় তাকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তিনি সাড়ে ২৩ বছর সাজা খেটেছেন।`
এর আগে, গত ১ এপ্রিল নুরুল ইসলামের আইনজীবী মো. শাহ আলম সরকার আদালতে বলেছিলেন, এই আসামির যাবজ্জীবন সাজা খাটার মেয়াদ শেষের দিকে হলেও আপিল শুনানি শেষ হয়নি। পরে আপিল বিভাগ দ্রুত এ আসামির কারাভোগের মেয়াদ জানাতে নির্দেশ দেন।
ওই নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আপিল বিভাগকে জানান, আসামি ২৩ বছর ছয় মাস সাজা খেটেছেন। পরে আসামির যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ শেষের দিকে হওয়ায় আদালত তাকে জামিন দিলেন।
জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ২৪ জুন সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নিজ স্ত্রী জোহরাকে ভাড়া করা খুনি দিয়ে খুন করান নুরুল। পুকুরে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন নুরুল। পরে ২০০১ সালে নুরুলকে যাবজ্জীবন সাজা দেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এই দম্পতির একটি সন্তান থাকায় নুরুলকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়।
এরপর ২০০৩ সালে হাইকোর্ট নুরুলের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রাখেন। তবে হাইকোর্টের সে রায়ের বিরুদ্ধেও আপিল বিভাগে আবেদন জানান আসামি নুরুল ইসলাম। একইসঙ্গে আপিল শুনানি অবস্থায় তার জামিন চেয়েও আবেদন করেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও