Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ এপ্রিল ২০২১ ২১:১২

ফাইল ছবি

ঢাকা: ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘ইলিশ বেড়ে ওঠার পথে কোনোভাবেই যাতে বাধা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য যা যা করা দরকার আমরা করবো।’

রোববার (৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের কর্মসূচি ৪ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত পালন করা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘মুজিববর্ষে শপথ নেব, জাটকা নয় ইলিশ খাবো-এ প্রতিপাদ্যে আমাদের এবারের কর্মসূচি। এ সময় ইলিশের অভয়াশ্রম সুরক্ষা এবং জাটকা নিধন বন্ধে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাটকা আহরণ বন্ধকালে ইলিশ আহরণে জড়িতদের যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য তাদের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’

ইলিশ পৃথিবীর অন্যতম সেরা মাছ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ইলিশের উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। আশা করছি ভবিষ্যতে এটা আরও ব্যপক আকার ধারণ করবে। ইলিশ উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে আমরা প্রথম স্থানে রয়েছি। ইলিশ রক্ষায় সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। যারা কারেন্ট জাল, বেহুন্দী জালসহ অন্যান্য ক্ষতিকর জাল তৈরি করে জাটকা নিধন করে তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা প্রদান ও জরিমানা করা হচ্ছে। গণমাধ্যমের সংবাদ বিবেচনায় নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কম্বিং অপারেশনসহ বিভিন্নভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবছরে জাটকা আহরণে বিরত থাকা ৩ লাখ ১ হাজার ২৮৮টি জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে ৪৬ হাজার ৭৭৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ বিতরণ করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৮১৫টি জেলে পরিবারকে ৪০ কেজি হারে প্রদানের জন্য মোট ২৬ হাজার ৩০৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ‘মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষায় অতীতের তুলনায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করায় মোবাইল কোর্টের সংখ্যা এবং জরিমানার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অবৈধভাবে মৎস্য আহরণকারী নেপথ্যের ব্যক্তিদেরও আমরা এখন আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। মৎস্যজীবীদের মধ্যে যারা ইলিশের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের এ সময় তালিকা অনুযায়ী আমরা ভিজিএফ দিচ্ছি। এ তালিকা প্রতিবছর হালনাগাদ করা হচ্ছে।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/জেআর/এমআই

মৎস্য মন্ত্রী শ ম রেজাউল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর