ঢাকা: দেশব্যাপী নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত থাকায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের গ্রেফতার দাবি করেছে বাংলাদেশ যুবমৈত্রী।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি সাব্বাহ আলী খান কলিন্স ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ সানি’র এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে যুবমৈত্রীর নেতারা বলেন, সম্প্রতি হেফাজত ইসলাম দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, জানমালের ক্ষতিসাধন করেছে এবং রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত রয়েছে। তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। কিন্তু সরকারি দল হেফাজতের ব্যাপারে এখনো সুস্পষ্ট অবস্থান নেয়নি।
বিবৃতিতে যুবমৈত্রীর দুই নেতা বলেন, গতকাল জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফজলুল করিম সেলিম হেফাজতের বিচারের দাবিতে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠনের দাবি করেছেন। অথচ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ হেফাজতকে ছাড় দিয়ে জামায়াত-শিবিরকে বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এ থেকেই স্পষ্ট, সরকারি দল হেফাজতের ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট অবস্থান নিতে পারেনি। এতে দেশের মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রশাসন হেফাজতকে লালন-পালন করছে বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন। বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন হেফাজতকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। তা না হলে নারায়ণগঞ্জে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারত না। সেখানে নারী কেলেঙ্কারির পর হেফাজতের কর্মীরা মামুনুলকে ছিনতাই করে নিয়ে চলে যায়। প্রশাসন মামুনুল হককে এখনো গ্রেফতার করেনি। আমরা অবিলম্বে মামুনুল হককে গ্রেফতারের দাবি জানাই।
সাব্বাহ আলী খান কলিন্স ও মুতাসিম বিল্লাহ সানি বিবৃতিতে বলেন, দরিদ্র মানুষেরা তাদের শেষ সম্বল দিয়ে গত বছরের লকডাউন মোকাবিলা করেছে। এবারের লকডাউনে সরকারি সহায়তা না পেলে এই মানুষদেরকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে তড়িৎ পদক্ষেপ নিতে হবে। এসময় পোশাক কারখানা খোলা রাখায় করোনা সংক্রমণ বিস্তারের ঝুঁকি থেকেই যায় বলে মন্তব্য করেন তারা। পেশাককর্মীদের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে সরকারি সহায়তাদানের আহ্বানও জানান তারা।
যুবমৈত্রীর শীর্ষ দুই নেতা আরও বলেন, করোনা মহামারিতে বেকারদের আপৎকালীন মাসিক পাঁচ হাজার টাকা করে বেকার ভাতা দিতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। এর লাগাম টেনে ধরতে না পারলে জীবন ও জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। আওয়ামী লীগ সরকারকে শ্রমিক-কৃষক-শিল্পবান্ধব হওয়া ও সংবিধানের চার মূলনীতি চর্চার মাধ্যমে দেশ পরিচালনার আহ্বান জানান তারা।