Thursday 24 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নওগাঁয় বেড়েছে পেঁয়াজ বীজের আবাদ, মিলছে না কৃষি অফিসের পরামর্শ

আব্দুর রউফ পাভেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৬ এপ্রিল ২০২১ ০৮:১২

নওগাঁ: জেলায় বেড়েছে পেঁয়াজ বীজের আবাদ। গতবছর চাষিরা দাম ভালো পাওয়ায় এবার বীজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে তাদের। এবারও পেঁয়াজের বীজের আবাদ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। তবে চাষাবাদে এলাকার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সহয়তা না পাওয়ার অভিযোগে উঠেছে। কৃষি অফিসের পরামর্শ মিললে বীজের আবাদ আরও ভালো হবে বলে মনে করছেন কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এবছর জেলায় ১৪.৮৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে মান্দায় ১০ হেক্টর জমিতে বীজের আবাদ হয়েছে। গত দুই বছর থেকে দেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থির। দাম বেশি পাওয়াতেই চাষিরা পেঁয়াজের বীজের আবাদে ঝুঁকেছেন।

বিজ্ঞাপন

উপজেলার শিয়াটা, গংগারামপুর, চকউলী, কাশোপাড়া ও সাতবাড়িয়া বেশি পরিমাণ বীজের আবাদ করা হয়েছে। অগ্রহায়ণ মাসে রোপণ করা হলে চৈত্র মাসে ফসল উঠে। সাধারণত প্রতি কাঠায় এক থেকে দেড় কেজি বীজ পাওয়া যায়। গত বছর প্রতি কেজি বীজ সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

উপজেলার গংগারামপুর গ্রামের চাষী আফছার আলী জানান, গত দুই বছর থেকে পেঁয়াজের বীজের আবাদ করছেন তিনি। এ বছর দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করেছেন। প্রতি বিঘাতে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। গত বছর এক কেজি পেঁয়াজের বীজ ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা কেজি বিক্রি করেছেন। এবছর পেঁয়াজের দামও বাড়ছে। এবারও ভাল দামে বীজ বিক্রি করতে পারবেন বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

গঙ্গারামপুর গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় গত দুই বছর থেকে বেশি দামে বীজ বিক্রি করতে পারছি। তবে আমাদের এলাকায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দেখা যায় না। তাদের না পাওয়ায় কীটনাশক কোম্পানির লোকজনের কাছে পরামর্শ নিতে হয়। তারা তাদের কোম্পানির ওষুধ লিখে দেয়।’ কৃষি বিভাগের লোকজনের পরামর্শও পেলে চাষাবাদে আরও সুবিধা পাওয়া যেত বলেও জানান তারা।

বিজ্ঞাপন

চকউলী গ্রামের গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমাদের গ্রামটি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা। ফসলের কোনো ধরনের সমস্যা হলে নিজেদের চেষ্টায় সমাধান করতে হয়। মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দেখা পাওয়া যায় না বললেই চলে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা গ্রামে গ্রামে গেলে কৃষকরা পরামর্শ নিতে পারতো।’

মান্দা উপজেলা কৃষি অফিসার শায়লা শারমিন বলেন, ‘উপজেলায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজের আবাদ করা হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এলাকায় যান না এমন অভিযোগ ঠিক না। তবে কৃষকরা যদি তাদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করেন অবশ্যই সার্বিক পরামর্শ দেবে।’

এছাড়া কৃষকরা যেন সার্বিক বিষয়ে পরামর্শ নিতে পারেন সেজন্য কীটনাশকের দোকানগুলোতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নম্বর দিতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সারাবাংলা/এমও

কৃষি অফিস নওগাঁ পেঁয়াজ বীজ বীজের আবাদ