আনসার আল ইসলামের ২ সদস্য রিমান্ডে
৬ এপ্রিল ২০২১ ১৭:৩৭
ঢাকা: রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে গ্রেফতার আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যেকে চারদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এন্ট্রি ইলিগ্যাল আর্মস অ্যান্ড ক্যানাইন টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে পল্টন থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আসামিদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন, আরিফুল ইসলাম ওরফে জাহেদ এবং বাকী বিল্লাহ ওরফে আবু সামির।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছে। আরিফুল ইসলাম ২০১৪ সালে এই সংগঠনে যোগ দেয় এবং বর্তমানে তিনি এ সংগঠনের উত্তরা এলাকার দায়িত্বশীল হিসেবে আছেন। বাকী বিল্লাল জানান, তিনি এ সংগঠনের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, ইতিপূর্বে পুলিশের সঙ্গে জঙ্গি বিরোধী তৎপরতার কারণে বিধ্বস্ত, সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ এ জঙ্গি সংগঠনকে পুনরায় সংগঠিত করাসহ কথিত জিহাদের নামে দেশের মধ্যে টার্গেট কিলিং-এর মাধ্যমে নাশকতা তৈরি, বিভিন্ন ধরনের ইনক্রিপটেট সিক্রেট অ্যাপস ব্যবহার করে উগ্রবাদী মতাদর্শ ও প্রপাগান্ডা প্রচারের মাধ্যমে নতুন সদস্য নিয়োগ এবং সাদকাহ প্রদান ও সংগ্রহের মাধ্যমে জঙ্গি অর্থায়ন করতো।
আসামিরা বিকাশের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতো। নিরাপত্তাজনিত কারণে মিটিংয়ের সময় তারা মোবাইল মিম ব্যবহার করতো না বলে জানায়। জঙ্গি কার্যক্রমে ব্যবহৃত অর্থ যোগানদাতাদের নাম এবং জঙ্গি সংগঠন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। যা রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহৃত হবে। এজন্য মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখার জন্য পলাতক জঙ্গিদের শনাক্তপূর্বক গ্রেফতার, অর্থায়নের উৎস, নাম ঠিকানা যাচাই, জঙ্গি সংগঠনের পলাতক জঙ্গিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থণা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
তবে এদিন আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
গত ৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পল্টন থানাধীন সুরমা টাওয়ারের সামনে থেকে এ দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।
সারাবাংলা/এআই/এমআই