এ বছর সাড়ে ৫ হাজারের বেশি কৃষিযন্ত্র বিতরণ করা হবে
৬ এপ্রিল ২০২১ ২১:৩৮
ঢাকা: কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওয়াতায় দেশে এ বছর ৫ হাজার ৭৭৬টি কৃষিযন্ত্র বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে কৃষকের মাঝে ‘কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র’ বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ -২১ অর্থবছর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫২ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হবে। চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরে এ প্রকল্পের অধীনে সারা দেশে ৫০০টি উপজেলায় ১ হাজার ৬১৭টি কম্বাইন হারভেস্টার, ৭০১টি রিপার, ১৮৪টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টারসহ মোট ৫ হাজার ৭৭৬টি বিভিন্ন ধরণের কৃষিযন্ত্র কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে হাওরে ধান সফলভাবে কাটার জন্য ৫১০টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ২৩১টি রিপার বিতরণ করা হচ্ছে।
খামার যান্ত্রিকীকরণ দেশের কৃষিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘১০ থেকে ১৫ বছর আগেও বাংলাদেশের কৃষি ছিল সনাতন পদ্ধতির। চাষাবাদ, মাড়াইসহ সব কাজ মানুষকে শারীরিকভাবে করতে হতো। লাঙলে চাষ হতো। এখন যন্ত্রের মাধ্যমে জমি চাষ ও ফসল মাড়াই হচ্ছে। কিন্তু ধান কাটা ও রোপণ মানুষকে করতে হচ্ছে। এতে ফসল উৎপাদনে খরচ অনেক বেশি ও সময় সাপেক্ষ। সেজন্য বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে গত ১২ বছর ধরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ৫০ শতাংশ ও হাওর-উপকূলীয় এলাকায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষিতে নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিপ্লব ঘটবে। বাংলাদেশের কৃষিও পশ্চিমা বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশের কৃষির মতো উন্নত ও আধুনিক হবে।’
অনুষ্ঠানে নেত্রকোনা থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন ও কৃষিযন্ত্র বিতরণ করেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু। মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) ড. মো. আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, অতিরিক্ত সচিব (নিরীক্ষা) মো. আব্দুল কাদের এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইড় থেকে যুক্ত হন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক মনিরুল আলম ও প্রকল্প পরিচালক বেনজীর আলম। এছাড়া, ১৩টি কৃষি অঞ্চলের ১৩টি উপজেলা থেকে প্রায় ৫ শতাধিক কর্মকর্তা ও কৃষক ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম