শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চ ডুবিয়ে ৩৫ যাত্রীকে হত্যার অভিযোগে মামলা
৭ এপ্রিল ২০২১ ১২:১৪
নারায়ণগঞ্জ: জেলার শীতলক্ষ্যা নদীতে বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী জাহাজ চালিয়ে সাবিত আল হাসান নামে মুন্সিগঞ্জগামী একটি লঞ্চ ডুবিয়ে ৩৫ জন যাত্রীকে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে বিআইডব্লিউটিএ। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাতে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ-পরিচালক (নৌ নিট্রা) বাবু লাল বৈদ্য বন্দর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় হত্যার উদ্দেশ্যে বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী জাহাজ চালিয়ে লঞ্চটি ডুবিয়ে ৩৫ জনের প্রাণহানি ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মামলায় আসামি হিসেবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
মামলার বাদী বাবু লাল বৈদ্য জানান, পেনাল কোড (দণ্ডবিধি) ২৮০, ৩০৪, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭, ৪৩৭ ধারাসহ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ-১৯৭৬ (ইনল্যান্ড শিপিং অর্ডিন্যান্স) এর ৭০ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যে ও বেপরোয়া গতিতে নৌযান চালিয়ে ৩৫ জনকে হত্যা সংঘটিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে হত্যার উদ্দেশ্যে বেপরোয়া গতিতে জাহাজ চালিয়ে হত্যা সংঘটিত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই দোষীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আটক হয়নি ঘাতক এসকেএল-৩ নামের কোস্টার ট্যাংকার জাহাজটি।
উল্লেখ্য, গত রোববার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর সামনে কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যায় লঞ্চটি। এমভি রাবিতা আল হাসান নামে লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল থেকে ৫টা ৫৬ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছলে একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় সেটি উল্টে যায়। অনেক যাত্রী সাঁতার কেটে তীরে উঠতে পারলেও অধিকাংশ যাত্রী নিখোঁজ ছিলেন। ঘটনার পর মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) পর্যন্ত স্থানীয় লোকজননের সহায়তায় ৩৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে ঘটনাস্থলের বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
সারাবাংলা/এনএস
৩৫ যাত্রীকে হত্যা টপ নিউজ বিআইডব্লিউটিএ মামলা লঞ্চ ডুবি শীতলক্ষ্যা নদী