রাজধানীতে চলছে গণপরিবহন, যাত্রী তুলনামূলক কম
৭ এপ্রিল ২০২১ ১৪:০৩
ঢাকা: স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ঢাকার রাস্তায় বাস চলছে। কোনো কোনো বাসে নেই অর্ধেক যাত্রীও। আবার দুএক জায়গায় দেখা গেছে বাসের সংকটও। তবে যাত্রীদের সবার মুখেই ছিল মাস্ক ছিল। বুধবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি এলাকাঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর মহাখালী থেকে গাবতলী, শ্যামলী ও মিরপুর সড়কের বাসগুলো পরিপূর্ণভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা গেছে। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে না। জানতে চাইলে আলিফ পরিবহনের ড্রাইভার আল ইমরান সারাবাংলাকে বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি গাড়ি চালানোর চেষ্টা করছি। অর্ধেকের বেশি যাত্রী পরিবহন করছি না। ভাড়া ৬০ শতাংশ বেশি নেওয়া হচ্ছে। দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না।
একই সড়কের বৈশাখী পরিবহনের হেলপার সুমন সারাবাংলাকে বলেন, রাস্তায় তেমন যাত্রী নেই। আমরাও বেশি যাত্রী নিচ্ছি না। এই সড়কের যাত্রী শাহিন বলেন, বাসের সিট ফাঁকা রয়েছে। রাস্তায় যাত্রী অনেক কম।
রাজধানীর রজনীগন্ধা পরিবহনেও দেখা গেছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। এই পরিবহনে বাটা সিগন্যাল থেকে উঠেছেন হেমায়েত উদ্দিন। নামবেন পল্টনে। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, এমনিতে ভাড়া ১০ টাকা। আমার কাছ থেকে এখন ১৫ টাকা রেখেছে। বাসে অতিরিক্ত লোক নেই। এই পরিবহনটির চালক ও হেলপার জানান, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না।
পল্টনে কথা হয় দিশারী পরিবহনের যাত্রী শাহীনের সাথে। মিরপুর থেকে তিনি গুলিস্তান যাচ্ছেন। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, মিরপুর থেকে গুলিস্তানের ভাড়া সাধারণত ২৫ টাকা। এখন ৪০ টাকা নিচ্ছে। বাসে অতিরিক্ত যাত্রীও নেই। এই বাসের হেলপার আলিফ সারাবাংলাকে বলেন, আমরা অতিরিক্ত যাত্রী নিচ্ছি না। সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নিচ্ছি।
তবে এই বাসে থাকা আফসানা মীম নামে এক যাত্রী সারাবাংলাকে বলেন, সকালে গুলিস্তান থেকে শ্যামলী গিয়েছি। ওই বাসে দিগুণ ভাড়া রেখেছে। সারাবাংলার প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য ওই বাসের নাম মনে করতে পারেননি তিনি।
এদিকে গুলিস্তান মোড়ে সরেজমিনে দেখা গেছে, কোনো বাসেই অতিরিক্ত যাত্রী নেই। অধিকাংশ বাসের সিট ফাঁকা রয়েছে।
ভিক্টর ক্লাসিকের চালক রাকিব সারাবাংলাকে বলেন, এক ট্রিপ মারার পর গাড়িতে স্প্রে করা হয়েছে। আর অতিরিক্ত লোক ওঠানো হচ্ছে না।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এএম