গোপনে ধারণ করা ভিডিও ছড়িয়ে ২ শিক্ষার্থী গ্রেফতার
৭ এপ্রিল ২০২১ ২১:১৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে কলেজ ছাত্রী ও তার মায়ের গোপনে ধারণ করা ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার প্রবর্তক সংঘের পাহাড়ে ও নন্দনকানন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন।
গ্রেফতার দু’জন হলেন- অভিষেক সেন শর্মা (১৯) ও আদিত্য বড়ুয়া (১৮)। দুজন আপন খালাতো ভাই। এদের মধ্যে অভিষেক চট্টগ্রাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএতে পড়ালেখা করছেন। আদিত্য সেন্টপ্লাসিড স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, বুধবার নগরীর পাঁচলাইশ থানায় দায়ের করা মামলায় কলেজ ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ মার্চ রাতে তার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে এবং হোয়াটস অ্যাপে বাসায় পোশাক পাল্টানোর ভিডিও পাঠায় অভিষেক। ছাত্রী এবং তার মা অভিষেকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে জানায়, এ ধরনের আরও ভিডিও সে বিভিন্নজনের ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়েছে। সেগুলো পর্ণসাইটে আপলোডের হুমকি দিয়ে সে নয় হাজার টাকা দাবি করে।
এজন্য একটি ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের নম্বরও অভিষেক পাঠায়। কিন্তু তারা টাকা পাঠানোর সময় দেখেন সেটা ‘বিকাশ’ অ্যাকাউন্টের নম্বর। তখন টাকা পাঠানো থেকে বিরত থাকেন তারা। কিন্তু টাকা না পাঠানোয় অভিষেক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীকে তার মায়েরও একই ধরনের কয়েকটি ভিডিও ফেসবুক এবং হোয়াটস অ্যাপে পাঠায়। এরপর মা-মেয়ে বিষয়টি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এবং পাঁচলাইশ থানাকে জানায়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা আসিফ মহিউদ্দীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রবর্তক সংঘের পাহাড়ে অভিষেকের নানার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করি। অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারি, প্রবর্তক সংঘের পাহাড়ের প্রহরীর ছেলে এই ভিডিও করে অভিষেককে দিয়েছে। অভিষেক তার খালাতো ভাই আদিত্যকে দিয়েছে। আদিত্য ভিন্ন নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সেগুলো কয়েকজন বন্ধুর ম্যাসেঞ্জারে দেয় এবং পর্ণসাইটে দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এরপর আমরা নন্দনকানন এক নম্বর গলি থেকে আদিত্যকে আটক করি। আর প্রহরীর ছেলেকে আমরা আটকের চেষ্টা করছি।’
আটক দুজনের বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম