Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘শিশুবক্তা’র ফোনে পর্ন ভিডিও, বিয়ে নিয়েও বিতর্ক!

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৮ এপ্রিল ২০২১ ০১:১৬

ঢাকা: র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নে (র‌্যাব) হাতে আটক ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর মোবাইল ফোনে মিলেছে বেশ কিছু পর্ন ভিডিও। তার মোবাইল ফোন থেকেই এমন কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, যেগুলোর ভিত্তিতে তার বিয়ে নিয়েও অস্পষ্টতা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

বুধবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে আটক করার পর ২৬ বছর বয়সী রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে বিকেলে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার মোবাইল ফোনও তল্লাশি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

র‌্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে, রফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার মোবাইলে ফোনে বেশকিছু পর্ন ভিডিও পাওয়া গেছে। আসমা বেগম নামের এক নারীকে তিনি বিয়ে করেছেন বলে দাবি করলেও সেই বিয়ে সামাজিকভাবে হয়নি। বিয়ে নিয়ে রয়েছে অস্পষ্টতা।

জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের রফিকুল জানান— প্রতিবার ওয়াজের জন্য তিনি ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। ওয়াজ করেই মাসে ৫-৬ লাখ টাকা আয় করেন তিনি। মাঝে মাঝে বিমান ও হেলিকপ্টারে গিয়ে ওয়াজ করেন। যারা তাকে নিমন্ত্রণ জানান, তারা এর খরচ বহন করেন।

‘শিশুবক্তা’ হিসেবে হঠাৎ পরিচিত হয়ে ওঠা রফিকুল ইসলাম কিছুটা অস্বাভাবিক খর্বকায়, বালকসুলভ চেহারা ও কোমল কণ্ঠস্বরের অধিকারী। তার নিজের ভাষ্যমতে, ‘১৯৯৫ সালে আমার জন্ম। কে বলছে আমি শিশু? আমার বয়স ২৬ বছর।’

রফিকুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনায়। স্থানীয় স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু হলেও পরে তিনি মাদরাসায় ভর্তি হন ও নূরানি, হেফজ পড়েন। এরপর আট বছর কিতাবখানায় পড়েন।

মাদরাসার ছাত্র থাকার সময় বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে ওয়াজ করতেন রফিকুল। তিনি দাওরায়ে হাদিস পড়েছেন রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসায়। একইসঙ্গে তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অঙ্গসংগঠন যুব জমিয়তের নেত্রকোনা জেলার সহসভাপতি। নেত্রকোনার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছেন ‘শিশুবক্তা’খ্যাত রফিকুল ইসলাম মাদানী।

বিজ্ঞাপন

রফিকুলের নামের শেষে ‘মাদানী’ শব্দ যুক্ত করা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। সাধারণত সৌদি আরবের মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়ালেখা করেন, তাদের নামের সঙ্গে ‘মাদানী’ যুক্ত করা হয়। অভিযোগ আছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা না করেই নিজের নামের সঙ্গে ‘মাদানী’ শব্দ যুক্ত করেছেন তিনি।

এরই মধ্যে ‘মাদানী’ শব্দ প্রত্যাহার করতে রফিকুলকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী। তার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শরীফুল হাসান খান গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই নোটিশ পাঠান।

বিতর্কিত বক্তা হওয়ায় রফিকুল ইসলামকে ওয়াজকারী বক্তাদের সংগঠন রাবেতাতুল ওয়ায়েজিন বাংলাদেশের সদস্য করা হয়নি। বরং সংগঠনটির পক্ষ থেকে তাকে বিভিন্ন সময় অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

রফিকুল ইসলাম মাদানী শিশুবক্তা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর