সিরাম ইনস্টিটিউটকে আইনি নোটিশ
৮ এপ্রিল ২০২১ ১৩:৪৭
করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহে বিলম্বকে কেন্দ্র করে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে যুক্তরাজ্যের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। খবর পিটিআই।
এ ব্যাপারে সিরামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা ভারতের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে, ভারত সরকারও বিষয়টি জানে। তিনি ওই আইনি নোটিশের ব্যাপারে তেমন কিছু না জানালেও, পুরো বিষয়টি বন্ধুত্বপূর্ণভাবে সমাধান করা হবে বলে জানান।
তিনি বলেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ ভ্যাকসিনের চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে আন্তর্জাতিক সরবরাহে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবারই পরিস্থিতি বোঝা দরকার। ভারত সরকার দ্রুতই এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হবে বলেও তিনি মনে করেন।
আদর পুনাওয়ালা ভারতের সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রতি দুইটিতে একটি ভারতে প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর বাইরেও ভ্যাকসিন অন্যান্য দেশে পাঠানোর ব্যাপারে যে স্থিতাবস্থা দিয়েছে সরকার, তা পুনরায় বিবেচনা করা উচিত। কারণ, ওই দেশগুলোতে মোটামুটি বাড়তি দামে তারা করোনা ভ্যাকসিন বিক্রি করেছেন।
ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মানুষের ভ্যাকসিন দরকার। কিন্তু, তারা ভারতের জনগণের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। এখন তাদের হাতে সারা বিশ্বে সরবরাহ করার মতো ভ্যাকসিন নেই।
তিনি আরও বলেন, সিরাম ইনস্টিটিউট মাসে ৬০-৬৫ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারে। ইতোমধ্যেই তারা ভারত সরকারের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডোজ এবং রফতানির উদ্দেশ্যে ৬০ লিলিয়ন ডোজ করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন করে ফেলেছেন।
সিরামের উৎপাদন সক্ষমতা মাসে ১০০ মিলিয়ন ডোজে নিতে হলে, জুন মাসের মধ্যেই আরও তিন হাজার কোটি রুপি প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন আদর পুনাওয়ালা।
সিরাম সিইও বলেন, এক ডোজ ভ্যাকসিনের বাজার মূল্য ১৫শ রুপি, কিন্তু সরকারের অনুরোধে ভর্তুকি দিয়ে মাত্র ১৫০ রুপিতে এক ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তাই সরকারের উচিত তাদের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়া।
সারাবাংলা/একেএম
অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনা ভ্যাকসিন নভেল করোনাভাইরাস ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট