‘ভিয়েনা আলোচনা এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা’
৮ এপ্রিল ২০২১ ২৩:২৮
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ভিয়েনা আলোচনা এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। যুক্তরাষ্ট্রকে কীভাবে পরমাণু চুক্তিতে ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে চুক্তির বাকি দেশগুলোর সঙ্গে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) থেকে বৈঠকে বসেছিলেন ইরানি প্রতিনিধিরা। ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টিও তাদের আলোচনায় স্থান পায়। খবর এএফপি।
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত বদলাতে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও দুই দেশের মধ্যে কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে বিভেদ রয়েছে। ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে একতরফাভাবে সরে আসার ঘোষণা দেন তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এরপর ইরানের অর্থনীতিকে চেপে ধরতে নির্বিচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকেন ট্রাম্প। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পরমাণু চুক্তির বেশ কিছু বাধ্যবাধকতা স্থগিত করে তেহরান।
কিন্তু, মঙ্গলবারের ওই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ছিল না। কারণ যতদিন ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে, ততদিন তাদের সঙ্গে বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইরান। ওই বৈঠকের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যস্থতা যেমন রয়েছে, তেমনি চুক্তির সব পক্ষই আলোচনা শুরু করতে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে — জানিয়েছে এএফপি।
বুধবার (৭ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি সততা ও আন্তরিকতা দেখায়, তবে সব সম্ভব হবে। তিনি মনে করেন, দরকার হলে অল্প সময়ের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা আলোচনায় বসতে পারবেন।
এই প্রক্রিয়ার ব্যাপারে ওয়াকিবহাল এমন এক কূটনীতিক এএফপি’কে বলেন, শুক্রবার (৯ এপ্রিল) ভিয়েনায় আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। বিভিন্ন হোটেলে মার্কিন প্রতিনিধিরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রাখছেন।
এ ব্যাপারে রাশিয়ার প্রতিনিধি মিখাইল উলইয়ানভ বলেন, ঠিক একই সময়ে চুক্তিটি সক্রিয় করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা শনাক্ত করতে কাজ করছে বিশেষজ্ঞদের দুটি গ্রুপ। একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া এবং পরমাণু ইস্যু নিয়ে তারা কাজ করছেন।
এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ প্রক্রিয়াকে গঠনমূলক ও নিশ্চিতভাবে ভালো পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে।
সারাবাংলা/একেএম