Tuesday 08 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ডে দুর্গন্ধে টেকা দায়

জি এম শান্ত, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৯ এপ্রিল ২০২১ ১৭:৩৯ | আপডেট: ৯ এপ্রিল ২০২১ ২২:২০

বরিশাল: করোনা সংক্রমণ রোধে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার মাখা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অথচ খোদ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ওয়ার্ডে ময়লা-আবর্জনায় বীভৎস চিত্র। ওয়ার্ডের মেঝেতে রক্তের দাগ। যেখানে-সেখানে ময়লার স্তুপ। বাথরুম টয়লেটও ব্যবহার অনুপযোগী।

এতে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। আবার করোনা ওয়ার্ডের যাবতীয় বর্জ্য ফেলানো হচ্ছে হাসপাতালের সামনে উন্মুক্ত স্থানে। এতে করোনা জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন রোগীর স্বজনরা। যদিও করোনা ওয়ার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার প্রয়োজনীয় লোকবল নেই বলে অজুহাত দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে প্রবেশের সময় ডানপাশে দেখা যায় উন্মুক্ত বর্জ্য। করোনা ওয়ার্ডের যাবতীয় বর্জ্য ফেলানো হচ্ছে সেখানে। রোদে শুকিয়ে এবং বাতাসে এই বর্জ্যর জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। ৫তলা করোনা ওয়ার্ড ভবনের প্রতিটি তলা প্রতিটি কক্ষ নোংরা-দুর্গন্ধময়। ওয়ার্ডের মেঝেতে রক্তের দাগ। ময়লা পড়ে কালো ফ্যাকাশে হয়ে গেছে মেঝের টাইলস। সেখানে-সেখানে ময়লা-বর্জ্যের স্তুপ। সবশেষ কবে করোনা ওয়ার্ড পরিষ্কার করা হয়েছে তা নেই জানেন না। বর্জ্যের গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা ওয়ার্ডের রোগী ও স্বজনদের। নোংরা পরিবেশে মুমূর্ষু রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় করোনা ওয়ার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাখার দাবি জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা।

করোনা ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সেবিকা চম্পা মালাকার জানান, করোনা ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নেই তাদের কাছে। একজন লোক আছে যিনি সারা দিন অক্সিজেন সিলিন্ডার ওঠানামা করতে করতে ক্লান্ত। এ অবস্থায় পেটে-ভাতে কর্মীরা রোগীদের বকশিসের টাকায় কোনোমতে ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখছে।

হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম জানান, করোনা ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখতে তিন শিফটে চতুর্থ শ্রেণির অন্তত ৩০ জন কর্মচারী দরকার। সেখানে আছে মাত্র তিন জন। তারপরও তারা সাধ্য মতো করোনা ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করছেন।

করোনা ওয়ার্ডের নোংরা পরিবেশের কথা স্বীকার করে পরিচ্ছন্ন কর্মীর চরম সংকটকে দায়ী করেছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. মনিরুজ্জামান।

তিনি বলেন, চালানোর জন্যই করোনা ওয়ার্ড চালাচ্ছেন। এটা যে খুব ভালোভাবে চলছে তা বলা যাবে না। প্রয়োজনের ১০ ভাগের একভাগ কর্মী দিয়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী করোনা ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব নয়। এই সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা কর্মচারী নিয়োগ দিলে এই সমস্যা আর থাকবে না।

এদিকে গত বছর করোনা প্রকোপের সময় ব্যবহার শুরু হওয়া নতুন ৫তলা ভবনের সিঁড়ির প্রতিটি ধাপ অক্সিজেন সিলিন্ডার ওঠানামা করে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। এতে অসুস্থ রোগীদের ওঠানামা করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

সারাবাংলা/এনএস

করোনা ওয়ার্ডে ময়লা-আবর্জনা জনবল সংকট টপ নিউজ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল(শেবাচিম)

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর