বরিশাল: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে সরকারি বিধিনিষেধের ৬ষ্ঠ দিনে দোকানপাঠ খুলে দেওয়ায় বরিশালের বাজারে মানুষের ভিড় বেড়েছে। ক্রেতার চাপ বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম। কিন্তু বাজারে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে চরমভাবে। অপরদিকে সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা এবং বাজার নজরদারিতে নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।
বিধিনিষেধ চলাকালে বরিশালের বাজারঘাট আগে থেকেই খোলা ছিল। প্রসাধনী ও পোষাক ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল দোকান খুলে দেওয়ার। সরকার শুক্রবার (৯ এপ্রিল) থেকে সারা দেশে শপিংমলসহ দোকানপাঠ খুলে দেওয়ার ঘোষণায় নগরীর অন্যতম বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্র চকবাজার, কাঠপট্টি, সদর রোড ও গীর্জা মহল্লার সব দোকান খুলেছে। পোষাক ও প্রসাধনীসহ অন্যান্য দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে বেচাকেনা করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। তবে এরপরও অনেকাংশে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।
এদিকে নিত্যপণ্যের দোকানে আগের চেয়ে ভিড় বেড়েছে। রমজান সামনে রেখে নিত্যপণ্যের বাজারে চাহিদার চেয়েও বেশি পণ্য কিনছেন ক্রেতারা। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে শুক্রবার ১৫ টাকা কেজি দরের আলু ২০ টাকা এবং ১৭ টাকা কেজি দরের পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৮ টাকায়।
এছাড়া অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। প্রচুর সংখ্যক ক্রেতা একই সময়ে বাজারে ভিড় করায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে চরমভাবে। বিশেষ করে নগরীর পোর্ট রোডের পাইকারী মৎস্য বাজারে সকালে ছিল অসহনীয় ভিড়। অনেকের ছিল না মাস্ক।
নিত্যপণ্যের বিক্রেতারা বলছেন, রমজান সামনে রেখে ক্রেতারা অতিরিক্ত পণ্য কেনায় বাজারে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে বেড়েছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। বাজারে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন আবার কেউ করছেন অবহেলা। তবে বিক্রেতারা ক্রেতাদের শারীরিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার তাগিদ দিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন।
অপরদিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরীর বাজার রোড ও চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মাস্কবিহীন তিনজন ব্যক্তিকে ১০০ টাকা করে ৩০০ টাকা জরিমানা করা ছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় নানা পরামর্শমূলক লিফলেট বিতরণ করেন এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।