টঙ্গী (গাজীপুর): সরকারের নির্দেশে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর পরও রাজধানীর উত্তরা ও গাজীপুরে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। মহানগরে গণপরিবহন চলাচল করার কথা থাকলেও কিছু চালক বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় অধিক ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন। আবার কিছু বাস ও মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করছে। তবে তল্লাশিতে ধরা পড়লেও টাকা নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরে গাড়িতে তল্লাশি চালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। আবদুল্লাহপুর এলাকায় তল্লাশির সময় গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করায় ৪টি মাইক্রোবাস ও ২টি বাস আটক করা হয়। কিছু সময় গাড়ি গুলোকে আটকে রেখে ছেড়ে দেন কর্মরত ট্রাফিক সার্জেন্ট রকি।
মাইক্রোবাস চালক সুজন বলেন, আমার গাড়ির সকল কাগজ ঠিক আছে কিন্তু গাদাগাদি করে যাত্রী তোলায় জন্য গাড়ি আটক করা হয়। পরে এক হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে, কোনো মামলা দেয়নি।
বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে আব্দুল্লাহপুর ১৫০ টাকা ভাড়া দিয়েছেন। করোনায় গণপরিবহন তুলনামূলক কম থাকায় যাত্রীরাও বিপাকে পড়েছেন।
কর্মরত সার্জেন্ট মো. রকি টাকা নেওয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, বাস ও মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করছে চালকরা। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা-পূর্ব জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) কাজী হানিফুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, ট্রাফিকের কোনো কর্মকর্তার অনিয়ম ছাড় দেওয়া হবে না। গণপরিবহনে গাদাগাদি করে যাত্রী নেওয়ার বিষয়েও অভিযান অব্যাহত থাকবে।