ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। তার কোভিড-১৯ টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
শনিবার (১০ এপ্রিল) প্রস্তুত করা ওই রিপোর্ট রোববার (১১ এপ্রিল) গণমাধ্যমের হাতে এসে পৌঁছায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিএনপি চেয়ারপারসনের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পজিটিভ।
ওই রিপোর্টে উল্লেখিত তথ্যমতে, শনিবার (১০ এপ্রিল) আইসিডিডিআরবি’তে করোনা টেস্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই করোনা টেস্টের রেজাল্ট আসে।
এদিকে রোববার (১১ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা শেষে তার কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে।
অবশ্য বিএনপি এবং পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়মিত চিকিৎসার বাইরে খালেদা জিয়ার আর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি। সুতরাং কোভিড-১৯ পজিটিভ আসার বিষয়টি তারা নিশ্চিত নন।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেসউইং সদস্য শায়রুল কবির খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। আমার জানা মতে, নিয়মিত চিকিৎসার বাইরে ম্যাডামের আর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও তার ভাগ্নে ডা. গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমন ঘটনার কোনো সত্যতা নেই। আমিই তার রেগুলার চেকআপ করি। রেগুলার চেকাপের অংশ হিসেবে ব্লাড টেস্ট করতে হয়। এটার জন্য তার ব্লাড নিতে টেকনোলজিস্টসহ ফিরোজায় গিয়েছিলাম। এটা কোনো করোনা পরীক্ষার অংশ না। খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার খবর নিতান্তই বিভ্রান্তিমূলক।’
বিষয়টি নিশ্চত হওয়ার জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুও ফোন ধরছেন না।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সূত্রমতে, শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ল্যাব এইডে খালেদা জিয়ার নমুনা পরীক্ষার পর সন্ধ্যা ৭ টায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে আরও কনফার্ম হওয়ার জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় আইসিডিডিআরবি খালেদা জিয়ার নমুনা সংগ্রহ করে। সেই নমুনা পরীক্ষায়ও পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার ১৭ দিনের মাথায় গত বছর ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য ‘সাময়িক’ মুক্তি পান বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার পর আরও দুই দফায় ছয় মাস করে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। মুক্তির পর থেকে তিনি গুলশান-২ এর ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ অবস্থান করছেন। অনেকটা কোয়ারেন্টাইনের মতো করে সেখানে আছেন খালেদা জিয়া। নিকট আত্মীয় এবং দলের দুয়েকজন শীর্ষ নেতা ছাড়া ফিরোজায় কারও প্রবেশের সুযোগ নেই।