ঝড়ে ভেঙেছে রেলগেট, ঝুঁকি নিয়ে চলছে মানুষ
১১ এপ্রিল ২০২১ ১৪:০৮
টঙ্গী: গাজীপুর মহানগরের পূবাইল রেলস্টেশন সংলগ্ন রেলক্রসিংয়ের গেটটি ঝড়ে ভেঙে যাওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ব্যস্ত এই ক্রসিংয়ে উত্তর দিকের রেল গেইটটি সম্প্রতি ঝড়ের সময় ভেঙে যায়। এরপর প্রতিদিন শত শত মানুষ ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়েই রেল লাইনের ওপর দিয়ে চলাচল করছে। এতে যে কোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
রোববার (১১ এপ্রিল) পূবাইল বাজার সড়কে গিয়ে দেখা যায়, রেলক্রসিং দিয়ে মানুষ চলাচল করছে কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই। এদিক ওদিক না তাকিয়ে রেলক্রসিং অতিক্রম করছে রিকশা-ভ্যান, অটোরিকশা, ছোট-বড় ট্রাকসহ নানা যানবাহন।
যানবাহন চালকরা জানান, দুর্ঘটনার ঝুঁকি আছে, কিন্তু কী করব? সবসময় দ্রুত যাত্রীদের পৌঁছে দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকি। ট্রেন আসছে কিনা তা দেখার কথা মনে থাকে না। অরক্ষিত এই রেল ক্রসিং অতিক্রম করে দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়েই যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল করতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন, পূবাইল বাজার সড়কের এই রেলক্রসিং-এ থাকা দুইটি রেল গেইটের মধ্যে সম্প্রতি একটি গেইট ভেঙে গেছে। এতে ঝুঁকি নিয়েই এই রেলক্রসিং পারাপার হয়ে পার্শ্ববর্তী পূবাইল বাজার, পূবাইল ভূমি অফিস, পূবাইল উচ্চ বিদ্যালয়, ছোট কয়ের-বড় কয়ের, খাতিয়া এবং কুমুনসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এই রেলক্রসিংয়ের ব্যস্ততাও থাকে বেশিরভাগ সময়। এই ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন ও পথচারী চলাচল করে।
স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ডাবল লেনের এ রেলসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর, মেইল, লোকাল এবং কনটেইনার ও মালবাহী প্রায় ৪০-৫০ টি ট্রেন যাতায়াত করে। লকডাউনের কারণে বর্তমানে শুধু কনটেইনার ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করছে।
গেইটম্যান রাব্বি হোসেন বলেন, ‘গত শনিবার (৩ এপ্রিল) রাতে ঝড়ের সময় উত্তর দিকের রেল গেইটটি ভেঙে যায়। দু’পাশের গেইট দু’টি একসঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। তাই বর্তমানে ট্রেন চলাচলের সময় গেইট বন্ধ করা যাচ্ছে না। সড়কে দাঁড়িয়ে সিগন্যাল দিয়ে গাড়ি থামাতে হয়। একসঙ্গে দুইপাশের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর হয়ে যায়। ভেঙে যাওয়া গেটটি দ্রুত মেরামত করার জন্য বৃহস্পতিবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।’
পূবাইল রেলস্টেশনের সিনিয়র মাস্টার দিলীপ চন্দ্র দাশ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভেঙে যাওয়া গেইটটি মেরামত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনানো হয়েছে। দ্রুতই গেইটটি মেরামত করা হবে।’
তিনি জানান, করোনার এই সময়ে বর্তমানে এই রেলক্রসিং অতিক্রম করে কনটেইনার ও মামামাল পরিবহনের প্রায় ৮-১০টি ট্রেন চলাচল করে। স্বাভাবিক সময়ে এই পথে প্রায় ৪০ টির মতো ট্রেন চলাচল করে থাকে।’
সারাবাংলা/একে