সরকারের উদাসীনতায় করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে: গণফোরাম
১১ এপ্রিল ২০২১ ১৬:২৪
ঢাকা: গণফোরামের একাংশের নেতারা বলেছেন, সরকারের উদাসীনতা এবং অব্যবস্থাপনা কারণে করোনা পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও মৃত্যুর ভয়াবহ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।
রোববার (১১ এপ্রিল) গণফোরাম নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাবেকমন্ত্রী ড. আবু সাঈদ ও গণফোরামের মুখপাত্র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর সই করা এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে গণফোরাম নেতারা বলেন, পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া, গণপরিবহন ও মার্কেটগুলো একবার বন্ধ করে আবার খুলে দেওয়া, প্রণোদনার নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এছাড়া রমজানকে সামনে রেখে চাল, ডাল, তেল এবং শাক-সবজিসহ জীবন ধারণের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বেড়েই চলছে। এ ব্যাপারে সরকারের ন্যূনতম কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। উপরন্তু টিসিবির মাধ্যমে কম দামে যেসব খাদ্যদ্রব্য বিক্রি হতো, তার দামও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে করোনার বিস্তার রোধে সরকারের আমদানিকৃত ভ্যাকসিনের এখনো দেখা মিলছে না।
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, সীমিত পরিসরে সমাজের সুবিধা ভোগীরা করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছে। কিন্তু ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা এখনও সম্ভব হচ্ছে না। নেতারা আরও উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় এখন আকাশচুম্বী। এই সংকট ও আতঙ্কময় পরিস্থিতে হাসপাতালগুলো কসাইখানায় পরিণত হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার নামে সেখানে রোগী ও স্বজনদের সর্বশান্ত করা হচ্ছে। আইসিইউতে রোগীকে নিতে পারলে কোনো কথাই নেই। প্রতি দিন হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা ব্যয় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ওষুধের দাম নাগালের বাইরে। এক বছর সময় কালের মধ্যে আইসিইউ’র সংখ্যা বাড়াতে সরকারের কোনো কার্যকর উদ্যোগ বা ম্যাথাব্যাথা নেই।
তারা আরও বলেন, বসুন্ধারা কনভেনশন সেন্টারের পাশে সরকারি অর্থ ব্যয়ে গত বছর যে বিশাল আকারের অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল তা করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় কোনো কাজে আসেনি। বরং জনগণের বিশাল অংকের অর্থের অপচয় হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মহাখালীর এক স্থাপনাকে আবারও বিশাল অংকের টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল বানানো হচ্ছে। এইভাবে একটার পর একটা হাসপাতাল বানানো হচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম