ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, পাটুরিয়া ঘাটে গাড়ির অতিরিক্ত চাপ
১২ এপ্রিল ২০২১ ১৬:৩৯
মানিকগঞ্জ: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউনের ঘোষাণার পর থেকে রাজধানী ঢাকা ছাড়াতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, অটোরিকসা ও মোটর সাইকেলে করে ঢাকা ছাড়ছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। ঘরে ফিরতে গিয়ে পথে ঘাটে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।
আর লকডাউনের সুযোগে ব্যাক্তিগত ছোট গাড়ির মালিকরা তিনগুণ ভাড়া আদায় করে যাত্রী আনা নেওয়া করছেন। সোমবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও পাটুরিয়া ঘাটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
দেখা গেছে, ঘাটে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজি, অটোরিকসা আর মোটরসাইলের দীর্ঘ সারি। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এসব ছোট যানবাহনের ভেতর গাদাগাদি করে এবং নির্ধারত ভাড়ার চাইতে তিন-চারগুণ বেশি ভাড়া নিয়ে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, রাস্তায় ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চালানো হলেও দেখার কেউ নেই। সাধারণ সময় গণপরিবহনে পাটুরিয়া থেকে সর্বচ্চ ১২০টাকা ভাড়া নেওয়া হত। কিন্ত বিধিনিষেধের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে জনপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলেও যাত্রী আনা নেওয়া বাবদ হাজার টাকা পর্যন্তও গুণতে হচ্ছে।
এদিকে সরকারি বিধিনিষেধের কারণে পাটুরিয়া ঘাটে লঞ্চ চলচল বন্ধ থাকলেও ফেরি চলাচল করছে। সাধারণ যাত্রীরা ফেরিতে গদাগদি করে নদী পার হচ্ছেন। যাত্রীর পাশাপাশি ব্যাক্তিগত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক এবং রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স পারাপার অব্যাহত রয়েছে। তবে ১৪ তারিখ থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণার পর থেকে ঘাটে ছোট গাড়ির অতিরিক্ত চাপ বেড়েছে। দেশে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষজন ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি ফিরতে গিয়ে ঘাটে পথে ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
পাটুরিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, ১৪ তারিখ থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণার পর থেকেই পাটুরিয়া ঘাটে ছোট গাড়ি অর্থাৎ প্রাইভেটকা, মাইক্রোবাস, জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকে চাপ বেশি পড়েছে। আজ (সোমবার) সকাল থেকে এসব গাড়ির অতিরিক্ত চাপের পাশাপাশি যাত্রীর চাপও অনেক বেশি। ফলে ১৪টি ফেরি দিয়ে এসব যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। পাটুরিয়া ঘাটে সকাল থেকে আটকে আছে প্রায় দুইশতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
সারাবাংলা/এনএস