‘শ্রমিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে মালিকরা’
১২ এপ্রিল ২০২১ ১৯:৫৯
ঢাকা: শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির কারণে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। এই সময়ে উৎপাদনে থাকা সকল শিল্প কারখানার শ্রমিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১২ এপ্রিল) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত শ্রম পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর এবং শ্রম অধিদফতরের সারাদেশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ২৩ কমিটিকে শ্রমিকদের সুরক্ষায় কঠোর ভাবে কাজ করতে হবে।
দেশ ও জাতির উন্নয়নের চাবিকাঠি শ্রমিকদের হাতে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার, মালিক-শ্রমিক সবাই মিলে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে এবং উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে হবে। করোনাকালীন কর্মহীন শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া আর্থিক সহায়তার সুবিধার কথা তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারখানা পর্যায়ে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আরও আন্তরিক হতে হবে। একইসঙ্গে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের সর্বোচ্চ তৎপর হতে হবে। আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিশ্চিত করা এবং পর্যায়ক্রমে ছুটির বিষয়ে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির আরও একটি সভা আহ্বান করা হবে বলেও তিনি জানান।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালামের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রেজাউল হক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আব্দুল লতিফ খান, শিল্প পুলিশের ডিআইজি মাহবুবুর রহমান, বিকেএমইএ-এর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমই-এর সিনিয়র অতিরিক্ত সচিব মুনসুর খালিদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল আহসান, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা নাইমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় শ্রমিক লীগ আঞ্চলিক শাখা নারায়ণগঞ্জ এর সভাপতি কাউসার আহমেদ পলাশ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর এবং শ্রম অধিদফতরের সাতটি আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমআই