মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যার পর কিশোরের লাশ তুরাগে
১৩ এপ্রিল ২০২১ ১১:৪৮
টঙ্গী (গাজীপুর): প্রথমে ইসমাইল সরকার (১৪) নামের এক কিশোরকে অপহরণ করা হয়। পরে তার বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে চাওয়া হয় পাঁচ লাখ টাকা। দাবিকৃত মুক্তিপণ না পেয়ে ওই কিশোরকে হত্যা করে তুরাগ নদে লাশ ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মোহাম্মদ আতাউল হোসেন (৩৫) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে এভাবেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবিন্দ দেয় আতাউল। সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার জাকির হাসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃত আতাউল গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে, নিহত ইসমাইল সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানঘরা গ্রামের মো. নূরনবী সরকারের ছেলে। সে স্থানীয় ডিএমপি’র কামারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। নিহত ইসমাইল ও আসামি উভয়ই তুরাগ এলাকার কামারপাড়া ভাড়া থাকত।
ওই বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, গত মাসের ১৯ তারিখে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে তুরাগ নদ থেকে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। মরদেহ উদ্ধোরের পর পরিচয় না পেয়ে ছয় দিন পর ২৫ মার্চ পুলিশ বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে ওই মামলা তদন্তের স্বার্থে নিহতে পরিচয় নির্ণেয়ের জন্য জিএমপিসহ আশপাশের জেলাগুলোতে ছবিসহ বেতার বার্তা প্রেরণকরা হয়। এছাড়াও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিহতের ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকি রেলস্টেশন বাস স্টেশনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতেও ছবি প্রিন্ট করে টানিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, গত মাসের ১৮ তারিখে নিহত ইসমাইলের পরিবার ডিএমপি তুরাগ থানায় একটি নিখোঁজের জিডি (নম্বর ৯১১) করে। পরে সেই হারানো জিডির সূত্রধরে নিহতের বাবা-মাকে ছবি, জামা-কাপড় দেখালে তারা ছেলেকে শনাক্ত করেন। এরপর পুলিশের তদন্ত দল ওই নিহত কিশোরের বাবা-মায়ের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল আসামি আতাউল হোসেনকে ডিএমপি’র তুরাগ এলাকার কামারপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে।
জাকির হাসান জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবিন্দ দিয়েছেন। তিনি ছাড়া আরও দুইজন ওই কিশোরের বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য ইসমাইলকে অপহরণ করে বলেও জানায় আতাউল।
সারাবাংলা/এনএস