বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংক খোলা রাখা যাবে, নির্দেশনা আসছে
১৩ এপ্রিল ২০২১ ১৭:০৯
ঢাকা: ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল সময়ে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানও বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সে অনুযায়ী সব তফসিলি ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়ে চিঠিও দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগই বলছে, বিশেষ প্রয়োজনে এই সময়েও ব্যাংক খোলা রাখা যাবে।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এ সংক্রান্ত নির্দেশনা শিগগিরই জারি করা হবে।
উপসচিব মো. রেজাউল ইসলামের সই করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১২ এপ্রিল জারি করা নির্দেশনার স্মারকের প্রেক্ষাপটে ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির জন্য অনুরোধ করা হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিবকে এই নির্দেশনার অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, আমরা এমন একটি নির্দেশনা পেয়েছিল। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১২ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনেই দেশের সব অফিসের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক চিঠিতে বলছে, ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতেই ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সময় তফসিলি ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকবে। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকতে হবে। একই সময়ে সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপশাখা ও বুথ খোলা রাখার ক্ষেত্রে বন্দর বা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিজ নিজ প্রয়োজন বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সীমিত জনবল দিয়ে খোলা রাখতে পারবে ব্যাংকগুলো।
এই সময়ের মধ্যে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেও নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/জিএস/টিআর