Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জীবন সবার আগে, বেঁচে থাকলে সবকিছু গুছিয়ে নিতে পারব’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৩ এপ্রিল ২০২১ ১৯:২৬

ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করায় সবাইকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জরুরি প্রয়োজনে বের হতে হলে ঘরে ফিরে ভাপ নিতে বলেছেন। একইসঙ্গে সরকার নির্দেশিত বিধিনিষেধ অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে বাঁচতে এসব বিধিনিষেধে কিছু ক্ষতি হলেও সবার আগে জীবন বাঁচানোটাই জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, গত সপ্তাহে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রবল আকার ধারণ করলে মানুষের চলাচলের ওপর আমাদের কিছু কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হয়। আপনারা দেখেছেন, কোনোভাবেই সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তাই আমাদের আরও কিছু কঠোর ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। আমি জানি, এর ফলে অনেকেরই জীবন-জীবিকায় অসুবিধা হবে। কিন্তু আমাদের সবাইকেই মনে রাখতে হবে— মানুষের জীবন সবার আগে। বেঁচে থাকলে আবার সব কিছু গুছিয়ে নিতে পারব।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি দেশে ও প্রবাসে অবস্থানরত সব বাঙালিকে বঙ্গাব্দ ১৪২৮-এর আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছর আমরা একটানা ৬২ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিলাম। আমরা এখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে পারিনি। বিদেশের সঙ্গে চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। এই অবস্থায় শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বের যেখানেই এই মরণঘাতী ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে, সেখানেই এ ধরনের ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।

এসময় করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর গত বছর সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকরি ব্যয়ের ক্ষেত্রে কর্মসৃজনকে প্রাধান্য দেওয়া; অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করা, শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে বহাল রাখা ও উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অক্ষুন্ন রাখা; সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বাড়াতে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগণ, দিনমজুর ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা পূরণে বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বাড়ানো; এবং মুদ্রা সরবরাহ বাড়াতে সরকারের উদ্যোগগুলোর কথা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই চার মূলনীতির ভিত্তিতে আমাদের কার্যক্রম এখনো অব্যাহত রয়েছে। আমরা এরই মধ্যে প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকার ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। কলকারখানায় যেন উৎপাদন ব্যাহত না হয়, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, হকার, রিকশাওয়ালা, দোকান কর্মচারী, স্কুলশিক্ষক, মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন, অন্যান্য ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সেবাদানকারী, সাংবাদিকসহ নিম্ন আয়ের নানা পেশার মানুষকে সহায়তা দিয়েছি। প্রায় আড়াই কোটি মানুষকে বিভিন্ন সরকারি সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে।

এ বছরও সবকিছু অতিক্রম করেই এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যুগে যুগে মহামারি আসে, আসে নানা ঝড়-ঝঞ্ঝা, দুর্যোগ-দুর্বিপাক। এসব মোকাবিলা করেই মানবজাতিকে টিকে থাকতে হয়। পথ যত কঠিনই হোক, আমাদের তা জয় করে এগিয়ে যেতে হবে।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

জাতির উদ্দেশে ভাষণ পহেলা বৈশাখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সিটিকে সরিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

পদ্মায় কমেছে পানি, থামছে না ভাঙন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯

সম্পর্কিত খবর