চকের ইফতার বাজারে নেই পুরনো আমেজ
১৪ এপ্রিল ২০২১ ১৯:৩৪
ঢাকা: রাজধানী ঢাকায় চারশ বছরেরও পুরনো ঐতিহ্য চকবাজারের ইফাতারি। গেল কয়েক বছরে ইফতার কেনাবেচায় এটি হয়ে উঠেছে সারাদেশের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। তবে করোনা মহামারির কারণে দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধের কারণে এবার চকের ভাসমান ইফতারির দোকানগুলো বসেনি। তার বদলে দোকান খুলে ইফতারি বেচছেন বিক্রেতারা।
লকডাউনের কারণে গেল বছরের রমজানের মতো এবারও রাজধানীর ফুটপাতে কোনো ধরনের ইফতারসামগ্রী বিক্রি করতে দেওয়া হচ্ছে না। সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করছেন মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা। এ কারণে ঢাকার কোথাও বসেনি ভাসমান ইফতারির দোকান।
প্রতিবছর রোজা শুরুর আগে থেকে চকবাজারের সার্কুলার রোডে বসে ইফতারের দোকান। কিন্তু এবার কোনো দোকানতো বসেইনি, নেই ক্রেতা সমাগমও। কেউ কেউ বসার চেষ্টা করলেও তাদের তুলে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন। এ কারণে চকবাজার শাহী মসজিদ রোড ও চক সার্কুলার রোড এ বছর বলতে গেলে ফাঁকা।
রাজধানীর চকবাজারের উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজ বলেন, ‘সরকারি কঠোর বিধিনিষেধের কারণে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা নিয়ম মেনে কাজ করছি। ক্রেতাদের বলছি, স্বাস্থ্যবিধি মানতে। বিক্রেতাদের বলছি, দোকানের ভেতরে বসেন।’
পুলিশ বলছে, সরকারি নির্দেশনার কারণেই রাস্তা বা ফুটপাতে কোনো ধরনের ইফতারসামগ্রী বসতে দেওয়া হচ্ছে না। মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় নগরবাসীর পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
চকবাজারের ইফতারির বিশেষ আকর্ষণীয় খাবর ‘বড় বাপের পোলায় খায়’। এছাড়াও এই বাজারের বটি কাবাব, সুতা কাবাব, রেশমি কাবাব, জালি কাবাবের সুনাম রয়েছে গোটা ভারতবর্ষেই। এখানে ১৫ থেকে ২০ প্রকারের কাবার বিক্রি হয়। বেচাকেনা হয় রান্না করা আস্ত খাসি ভুনা, আস্ত কোয়েল ভুনা, নানান ধরনের টিকিয়া, শাহী জিলাপি, ফিরনি, লাবাং, বোরহানি, মাঠাসহ নানাধরনের খাবার। কথিত আছে, অনেক আগে এসব খাবারের বেশির ভাগই রান্না হতো মুঘল দরবারের হেঁসেলে।
সারাবাংলা/টিএস/পিটিএম