জোরপূর্বক পাগল সাজানো ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল পুলিশ
১৬ এপ্রিল ২০২১ ২১:১৬
ঢাকা: পাবনা জেলা হতে এক নারী বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত ‘বাংলাদেশ পুলিশ ফেইসবুক পেইজ’র ইনবক্সে জানান, তার বাবাকে আগের ঘরের ছেলে ও বড় সন্তান কিছু দুষ্কৃতিকারীর সহযোগিতায় ১৫ দিন পূর্বে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তি অভিযান চালিয়ে ঢাকার একটি মানসিক রোগ হাসপাতাল থেকে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) পুলিশের সদর দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযোগকারীর বাবা পাবনা জেলায় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বহু বছর আগেই ডিভোর্স হয়েছে। প্রথম সন্তানকে তিনি শুরু থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু, সেই ছেলে জোরপূর্বক বাবার ব্যবসা দখলের পায়তারা করে। কোনো এক সুযোগে কিছু দুষ্কৃতিকারীর সহযোগিতায় প্রথম ঘরের ছেলে তার বাবাকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। তারপর, তাকে ঢাকার কোনো একটি বেসরকারি হাসপাতালে মানসিক রোগী হিসেবে ভর্তি করিয়ে রাখে এবং এক প্রকার ফিল্মি স্টাইলে ভদ্রলোকের ব্যবসা দখল করে।
এদিকে ব্যবসায়ীর দ্বিতীয় স্ত্রী ও পরিবার তার কোনো খোঁজ না পেয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হয়। এক পর্যায়ে তারা বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজেও বার্তা পাঠিয়ে সহযোগিতা চায়। বার্তাটি দেখার পরপরই মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিত অবগত হয়। এরপর এ বিষয়ে ত্বরিত উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশনা দেয়। পাশাপাশি পাবনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলমকে এ বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদারকির জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। জনাব মাসুদ আলম জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে ত্বরিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল মিডিয়া উইং।
অবশেষে পাবনা জেলা পুলিশের সার্বিক তৎপরতায় স্বল্পতম সময়ে ভুক্তভোগীর অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়। এরপর ১৬ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পাবনা জেলা পুলিশের একটি টিম ঢাকার বসিলায় অবস্থিত একটি অখ্যাত মানসিক রোগ হাসপাতাল ও রিহ্যাব সেন্টার থেকে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকালে তার স্ত্রী ও কন্যা সঙ্গে ছিলেন। মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং সার্বক্ষণিকভাবে ভুক্তভোগী পরিবার ও পাবনা জেলা পুলিশের সঙ্গে এ বিষয়টি সমন্বয় করছিল।
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশকে একটি জনবান্ধব বাহিনীতে রূপান্তরিত করতে পুলিশের সদর দফতর কাজ করছে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সারাবাংলা/ইউজে/এনএস
জোরপূর্বক পাগল সাজানো ব্যবসায়ীকে উদ্ধার নারীর অভিযোগ পাবনা বাংলাদেশ পুলিশের ফেইসবুক পেইজ