শেরপুরে শিক্ষকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য
১৬ এপ্রিল ২০২১ ২৩:০৬
বগুড়া: জেলার শেরপুরের মাগুড়ারতাইর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারধরে আহত এক শিক্ষকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। ওই শিক্ষকের নাম মোস্তাফিজুর রহমান। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলার শালফা টেকনিক্যাল বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক। তিনি উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের মাগুড়ারতাইর গ্রামের মৃত লোকমান মণ্ডলের ছেলে।
জানা যায়, খামারকান্দি ইউনিয়নের মাগুড়ারতাইর গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম ও তার ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান এবং মৃত হোসেন আলীর ছেলে আলী আজমের সঙ্গে শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের গত ৪ এপ্রিল রোববার বিকেলে একটি চায়ের দোকানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে বিতর্ক হয়। এ সময় শহিদুলরা ক্ষিপ্ত হয়ে মোস্তাফিজুরকে মারধর করে। গুরুতর আহত মোস্তফিজুর রহমানকে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য এনামুল হক রানা হাসপাতালে ভর্তি না করে বগুড়ার একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করে দেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং মধ্যরাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে শালফা টেকনিক্যাল বিএম স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইউসুফ আলী জানান, মোস্তাফিজুর আমার প্রতিষ্ঠানে ১৬ বছর যাবৎ শিক্ষকতা করছেন। আমি তার বিরুদ্ধে মাদকের কোনো রিপোর্ট পাইনি।
এ ব্যাপারে খামারকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন বলে মোবাইল কেটে দেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য এনামুল হক রানা বলেন, মারামারির পরে তার পরিবারের কথা মত মোস্তাফিজুরকে বগুড়া মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করিয়ে দেই।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম জানান, মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তার পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
সারাবাংলা/এনএস
বগুড়া শালফা টেকনিক্যাল বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য