Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেই হাসিটা চিরতরে মিলিয়ে গেল

সিনিয়র করেসপনডেন্ট
১৭ এপ্রিল ২০২১ ০১:২৭

ঢাকা: ‘সুতরাং’ সিনেমার মধ্যদিয়ে ১৯৬৪ সালে বাংলা সিনেমায় আবির্ভাব হয় গোলগাল চেহারার এক মিষ্টি মেয়ের। তার গালে টোল পড়া হাসির মুগ্ধতা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাংলায়। কোটি যুবকের বুকে ছুরি হয়ে বিঁধলো হাসি সেই। এরপরের গল্পটা আরও রূপকথার। বাংলা সিনেমা পেল ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘ময়নামতি’, ‘সুজন সখি’, ‘সারেং বউ’য়ের মতো কালজয়ী সিনেমা। ভূবন ভোলানো সেই হাসি আজ চিরতরে মিলিয়ে গেল। পরপারে পাড়ি জমালেন হাসির মানুষটি সারাহ বেগম কবরী।

বিজ্ঞাপন

প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার রাত ১২টা ২০মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সুভাষ দত্তের সুতরাং সিনেমার মধ্যদিয়ে অভিষেক। এরপর অভিনয় করেন জলছবি, বাহানা সাতভাই চম্পা, আবির্ভাব, বাঁশরি, যে আগুনে পুড়ি, দীপ নেভে নাই, দর্পচূর্ণ, কখগঘঙ ও বিনিময় সিনেমায়।

একাত্তরে যুদ্ধের সময় প্রথমে ঢাকা থেকে গ্রামে পরে ভারত গিয়ে যুদ্ধের সমর্থনে প্রচারণায় অংশ নেন।

১৯৭৩ সালে স্বাধীন দেশে আবারও অভিনয় শুরু করেন প্রখ্যাত এই অভিনেত্রী। ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত তিতাস একটি নদীর নাম সিনেমায় অভিনয় করেন। নায়ক রাজ্জাকের সঙ্গে ‘রংবাজ’ সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে চলে আসেন।

অভিনয় থেকে একসময় নাম লেখান পরিচালক হিসেবেও। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন কবরী।

সারাবাংলা/এসবি/একেএম/এসএসএ

সারাহ বেগম কবরী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর