অটোমোবাইল খাতের উন্নয়নে সঠিক নীতি প্রয়োজন
১৮ এপ্রিল ২০২১ ১৭:৫৮
ঢাকা: দেশের অটোমোবাইল খাতকে এগিয়ে নিতে সঠিক নীতি প্রয়োজন। খাতটির জন্যে প্রণোদনা ও বিশেষ কর সুবিধা একান্ত কাম্য। খাতটির উন্নয়নে সরকারি বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। একইসঙ্গে খাতটির উন্নয়নে সরকার যে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার কথা ভাবছে, সেই নীতিমালা চূড়ান্ত করে দ্রুত সময়ে প্রকাশ করা উচিত।
রোববার (১৮ এপ্রিল) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘অটোমোবাইল শিল্পের উন্নয়ন: বর্তমান বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আগামী ২০২৬ সাল স্বল্পন্নোত দেশ হতে উন্নত দেশে পরিণত হবে। বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু গড় আয় প্রায় ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। সামনের দিনগুলোতে তা আরও বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে দেশের মানুষের মাঝে নিরাপদ যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি আধুনিক সুবিধা সম্বলিত যানবাহন ব্যবহারের প্রবণতা বাড়বে, যেটি অটোমোবাইল খাতের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য একটি সহায়ক নীতিমালার খসড়া প্রস্তুতের কাজ করছে শিল্প মন্ত্রণালয়। যেটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।’ পাশাপাশি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে এখাতের যন্ত্রাংশ উৎপাদনে শিল্প-কারখানা স্থাপনে এগিয়ে আসার জন্য দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান শিল্পমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নায়োকি বলেন, ‘অনেক দেশের শিল্পায়নে অটোমোবাইল খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে জাপানে এখাত দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের সেই উদাহরণ অনুসরণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এলক্ষ্যে একটি সমন্বিত নীতিমালা অপরিহার্য। একই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি খাতকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাংলাদেশের অটোমোবাইল খাতের বিকাশকে ত্বরান্তিত করতে হালকা প্রকৌশল শিল্পকে এগিয়ে আসতে হবে। জাপানের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশি বাংলাদেশে ‘সিকেডি প্ল্যান্ট’ স্থাপনের আগ্রহ দেখিয়েছে এবং এ বিষয়ক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলমান আছে।”
ওয়েবিনারের স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘আমাদের অটোমোবাইল শিল্পে মূলত আমদানি নির্ভর রিকন্ডিশন গাড়ির প্রধানই বেশি। তবে জাপান, চীন ও ভারত থেকে কিছু নতুন গাড়িও আমদানি করা হয়, যার সংখ্যা তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। কোভিড পূর্ববর্তী সময়ে দেশের এ শিল্পখাত প্রতিবছর গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেলেও, বিআরটিএ তথ্য মতে ২০২০ সালে বাংলাদেশে মোটর ভিহাইক্যালের নিবন্ধন কমেছে প্রায় ২৪ শতাংশ।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইফাদ গ্রুপ অব বাংলাদেশের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন আহমেদ।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাসের ইকোনোমিক অ্যান্ড ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান জন ডি ডানহাম, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তৌহিদুজ্জামান, উত্তরা গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাতিউর রহমান এবং বারভিডা’র সভাপতি আব্দুল হক।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও
অটোমোবাইল অটোমোবাইল খাত অটোমোবাইল শিল্প শিল্পমন্ত্রী সঠিক নীতি