Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গর্ভাবস্থায় কোভিড সংক্রমিতরা কোথায় চিকিৎসা নেবেন?

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৯ এপ্রিল ২০২১ ১২:৫২

ঢাকা: ৩২ বছর বয়সী রিফাত সুলতানা। দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ৭১ টিভির অ্যাসোসিয়েট নিউজ প্রডিউসার ছিলেন। ৭ মাসের সন্তানসম্ভবা অবস্থায় তার কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। একই সঙ্গে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয় তার পরিবারের সদস্যদের মাঝেও। এমন অবস্থায় রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সন্তানসম্ভবা রিফাত সুলতানাকে। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। কয়েক ঘণ্টা পর বিকেল ৫টার দিকেই রিফাত সুলতানা মারা যান।

বিজ্ঞাপন

একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, আমরা চার দিন ধরে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেছিলাম ওর জন্য। সন্তানসম্ভবা অবস্থায় তার মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এমন রোগীদের জন্য ঢাকা শহরে চিকিৎসা সুবিধা অনেক কম। শেষ মুহূর্তে আমরা তাকে ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করি। অনেক কষ্টে তাদের রাজি করানো হয় অস্ত্রোপচার করার জন্য। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। শুক্রবার সকালে তার প্রসব বেদনা ওঠে, কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় সে। কিন্তু বিকেল ৩টার দিকে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসকরা।

বিজ্ঞাপন

নোয়াখালীর আল নোমান কোরেশীর বোন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন রাজধানীর আদ দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এ অবস্থায় সেখানে তার চিকিৎসা সম্ভব না। তারা সরকারি হাসপাতালে খোঁজ নিতে শুরু করেন। কোথাও শয্যা খালি না পেয়ে মগবাজারেই একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে যান। সেখানে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অস্ত্রোপচার করাতে রাজি হলে সেখানে তাকে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে সেখানেও অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়নি। নিয়ে যাওয়া হয় মুগদা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে পরদিন অস্ত্রোপচার হয় ও পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু এরপরে নবজাতক ও তার মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। অনেক খুঁজে রাত দেড়টায় নবজাতককে ভর্তি করা হয় এনআইসিইউতে। পরদিন মাকে ভর্তি করা হয় মুগদা মেডিকেলের আইসিইউতে।

আল নোমান কোরেশি অভিযোগ করে বলেন, আদ দ্বীন হাসপাতালে আমার বোন চিকিৎসাধীন অবস্থায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। কিন্তু পরে তারা জানায় যে করোনা পজিটিভ রোগীর অস্ত্রোপচার সম্ভব না। ওইরকম একটি সময়ে কোথায় আমার বোনকে নিয়ে ভর্তি করাতে পারব, সেই জায়গার সন্ধান পেতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। এখন নবজাতক ও তার মা দুইজনেই চিকিৎসাধীন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গর্ভবতী অবস্থায় নারীদের কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হলে তারা বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকবেন। তবে এক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে করোনায় আক্রান্ত হলে ঝুঁকির মাত্রা কিছুটা হলেও কম থাকে। অনেক ক্ষেত্রে সন্তানসম্ভবা অনেকে করোনায় আক্রান্ত হলেও উপসর্গ দেখা যায় না। এ ধরনের রোগীর কো-মর্বিডিটি থাকলে ঝুঁকি নিঃসন্দেহে বেশি। কিন্তু এ ধরনের রোগীকে চিকিৎসা দিতে রাজি হচ্ছে না অনেক হাসপাতালই। তারা তবে চিকিৎসার জন্য কোথায় যাবেন?

বেসরকারি হাসপাতালগুলোর এ ক্ষেত্রে চিকিৎসা দিতে না চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে কোভিড ডেডিকেটেড কোনো অপারেশন থিয়েটার নেই। তবে অনেক সময় ইমার্জেন্সি অবস্থায় উপসর্গহীন রোগী চলে আসেন। সেক্ষেত্রে ওটি করে ফেলতে হয়। ওটি করে সেটিকে সংক্রমণমুক্ত করে ফেলি। উপসর্গহীন রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ডেলিভারির পরে উপসর্গ দেখা দেয়। রোগ প্রতিরোধ কম থাকার কারণে তাদের সিজারের পরে উপসর্গ দেখা যায়। তখন আমরা কোভিড-১৯ টেস্ট করে দুই-তিনটি ক্ষেত্রে পজিটিভ পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে কোভিড-১৯ পজিটিভ অবস্থায় কোনো সন্তানসম্ভবা এলে আমরা তাকে আমরা মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেই। ওখানে কোভিড-১৯ পজিটিভ অবস্থায় কিন্তু চিকিৎসা দেওয়া হয়, সিজারও করা হয়ে থাকে। আমাদের এখানে সেই সুবিধা নেই বলেই আমরা এটি করতে পারছি না।’

এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিফতর কর্তৃপক্ষ বলছে, গর্ভবতী অবস্থায় যদি কারও কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়, তাদের জন্য সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বলছে, প্রতিষ্ঠানগুলোতে সন্তানসম্ভবা অবস্থায় যদি কেউ করোনায় আক্রান্ত হন, তাদের অগ্রাধিকার দিচ্ছেন তারা। এক্ষেত্রে এ ধরনের রোগীর চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মাতুয়াইল শিশু মাতৃসদন হাসপাতালে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।

সরকারি হাসপাতালে অগ্রাধিকার

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ও করোনাবিষয়ক মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের যেসব স্থানে কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেখানেই গর্ভবতীদেরও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেসব স্থানেই বিশেষজ্ঞরা আছেন। এক্ষেত্রে যদি অন্যান্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শের প্রয়োজন হয়, সেটাও সেখান থেকে দেওয়া সম্ভব। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) হাসপাতালটা যদি চালু করা গেলে কিছু হাসপাতালের লোড কমবে। সেসব হাসপাতালে কোভিড সংক্রমিত সন্তানসম্ভবনা নারীদের চিকিৎসা সুবিধা আরও বাড়ানো যাবে।’

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুগদা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মাতুয়াইল শিশু মাতৃসদন হাসপাতালের কোভিড-১৯ পজিটিভ গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এসব হাসপাতালে নির্দেশনা দেওয়া আছে, যদি গর্ভবতী নারীদের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায়, তাহলে তাদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে চিকিৎসা দিতে হবে।’

সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘গর্ভবতী অবস্থায় কেউ কোভিড-১৯ পজিটিভ এলে আমাদের এখানে তাদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যদি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয়ে থাকে, সেটাও করা হয়। আমাদের এখানে তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাপনা আছে। যারাই আসছেন, তাদের ভর্তি রাখা হচ্ছে। অস্ত্রোপচারও প্রতিদিনই হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা গর্ভধারণের শেষ পর্যায়ে আছেন, তারা করোনা পজিটিভ হলে ঝুঁকি স্বাভাবিকভাবেই বেশি। বিশেষ করে তাদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গেলে অস্ত্রোপচারের জন্য সংজ্ঞাহীন করাটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এমনকি ভেন্টিলেটরে নেওয়া হলেও তারা অক্সিজেন কম পান। এরকম কিছু জটিলতা রয়েছে। তারপরও আমরা এমন রোগীদের ভর্তি করছি, চিকিৎসা দিচ্ছি। তাই আমরা বলব, এ ধরনের রোগী থাকলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা যথাসম্ভব অগ্রাধিকার দিয়ে আপনাদের চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করব।’

মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. অসীম কুমার নাথ সারাবাংলাকে বলেন, ‘যারা সন্তানসম্ভবা, তাদের ডেলিভারি যদি আসন্ন হয়ে থাকে তবে অবশ্যই তাকে ভর্তি করে থাকি আমরা। তাদের সিট পাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা সাধারণত হওয়ার কথা না। কারণ তারা অগ্রাধিকার পান এখানে। আমাদের এখানে কোভিড-১৯ সংক্রমিত গর্ভবতীদের ডেলিভারি আমরা করাচ্ছি, সিজারও হচ্ছে। তাদের আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে

জানতে চাইলে অবস্ট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনিকোলজিকাল সোসাইটি বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. সামিনা চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘সন্তানসম্ভবারা কোভিড পজিটিভ হলে তাদের চিকিৎসা এখন দেশের অনেক কোভিড ইউনিটেই দেওয়া হচ্ছে। এমনিতেই গর্ভাবস্থা সবসময়ই ঝুঁকির বিষয়। তার ওপর প্রসূতি কোভিড-১৯ সংক্রমিত হলে ঝুঁকির মাত্রা আরও বেড়ে যায় প্রসূতি ও নবজাতক উভয়েরই জন্য। এক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রে প্রিম্যাচিউর ডেলিভারিও হয়ে যাচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে প্রসূতিতে অবশ্যই সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তার পরামর্শ মেনে বাসায় বা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে।’

এ ধরনের রোগীদের জন্য বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন জানিয়ে ডা. সামিনা বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষণায় প্রমাণিত, গর্ভবতী অবস্থায় কোভিড-১৯ সংক্রমিত হলে ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমন অবস্থায় ডেলিভারি হলে তাদের আইসিইউ নিশ্চিত করা প্রয়োজন হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। আরেকটি বিষয়— সন্তান জন্মদানের পর স্বাভাবিক অবস্থায় যে নাড়ি আমরা সঙ্গে সঙ্গেই কেটে থাকি, এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে সেটি কমপক্ষে এক মিনিট দেরি করতে হয়। তাছাড়া বাচ্চার জন্যও এনআইসিউ প্রয়োজন হতে পারে। আবার বাচ্চাকে কিন্তু কোভিড সংক্রমিত মা বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন, কিন্তু মা’কে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। হাত ধুয়ে নিতে হবে। রেসপিরেটরি হাইজিন নিশ্চিত করার জন্য মাস্ক পরে দুধ খাওয়াতে হবে। এরপর তাকে ছয় ফুট দূরে রাখবে। সেখানে একজন নন-কোভিড কেউ বাচ্চার অন্যান্য সেবা দেবেন। এখন পর্যন্ত বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এভাবেই গাইডলাইন দিয়েছে।’

অধ্যাপক ডা. সামিনা চৌধুরী আরও বলেন, ‘গত বছর আমরা অনেক ক্ষেত্রে মিডওয়াইফারিদের দিয়ে গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসায় অনেক ব্যবস্থা করেছিলাম, এবার সেটা হচ্ছে না। আর তাই ২৪ ঘণ্টায় নরমাল ডেলিভারিটা অনেক ক্ষেত্রেই পারা যাচ্ছে না। গতবার অবশ্য আমাদের ওজিএসবিকে ইউএনএফপি সাহায্য করেছিল সরকারের সঙ্গে। পরে আর সেটি ধরে রাখা যায়নি নানা জটিলতার কারণে।’

অবস্ট্রিক্যাল এন্ড গাইনীকোলজিকাল সোসাইটি বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা বেগম সারাবাংলাকে বলেন, ‘গর্ভবতী অবস্থায় যারা কোভিড-১৯ সংক্রমিত হচ্ছেন, তাদের ৮০ শতাংশ মৃদু সংক্রমণে ভোগেন। এক্ষেত্রে যদি তাদের ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে থাকে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তিনিই সিদ্ধান্ত দেবেন যে প্রসূতি বাড়িতে থাকবে নাকি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। অনেকে কোভিড-১৯ পজিটিভ হলেও উপসর্গ থাকে না। এ ধরনের গর্ভবতী নারীরা চাইলে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিতে পারেন। তবে বাকিদের ক্ষেত্রে আইসিইউ পর্যন্ত লাগতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায়, সন্তান জন্ম দেওয়ার পর মায়ের শারীরিক অবস্থা দ্রুত খারাপ হতে থাকে। এ ক্ষেত্রে আইসিইউ ছাড়া চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না। ফলে যাদের শারীরিক অবস্থা নাজুক, তাদের আইসিইউ আছে এমন চিকিৎসাকেন্দ্র বেছে নিতে হবে। তাছাড়া অন্যরা, যাদের উপসর্গ নেই, তাদের আমাদের মাতৃসদনগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। কিন্তু যার উপসর্গ আছে, তার জন্য অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়াও অন্যান্য যেসব সুবিধা প্রয়োজন, সেগুলোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রসূতিকে সবসময় চিকিৎসকের নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। তার পরামর্শ মেনে চলতে হবে।’

সারাবাংলা/এসবি/একে

করোনা কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর