করোনায় মারা গেলে ব্যাংক কর্মকর্তা পাবেন ৫০ লাখ
১৯ এপ্রিল ২০২১ ২২:০৭
ঢাকা: ব্যাংকে কর্মরত অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে ব্যাংক কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ ৫০ লাখ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন। এই ক্ষেত্রে ব্যাংকের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা, সিনিয়র অফিসার, প্রবেশনারি অফিসার, ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার বা সমমান হতে ঊর্ধ্বতন পদমর্যাদার কর্মকর্তা মারা গেলে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবেন।
অন্যদিকে ব্যাংকের ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বা সমমান পদমর্যাদার কর্মকর্তারা মারা গেলে সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা। এছাড়া ব্যাংকের কোনো স্টাফ ও সাব-স্টাফরা ক্ষতিপূরণ হিসাবে পাবেন (যেকোনো প্রক্রিয়ায় নিয়োগকৃত/নিয়োজিত) পাবেন ২৫ লাখ টাকা। সোমবার (১৯ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিআরপিডি ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সার্কুলারটি দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠান হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলারে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ঘটলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে মৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্ত্রী/স্বামী/সন্তান এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে বাবা/মাকে ক্ষতিপূরনের অর্থ দিতে হবে।
সার্কুলারে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি ধাপ উল্লেখ করা হয়েছে। এতে প্রথম ধাপের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে— প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা, সিনিয়র অফিসার, প্রবেশনারি অফিসার, ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার বা সমমান হতে ঊর্ধ্বতন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা পাবেন ৫০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় ধাপে ব্যাংকের ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বা সমমান হতে ধাপ-১ এর পূর্ব পর্যন্ত পদমর্যাদার কর্মকর্তারা পাবেন ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর তৃতীয় ধাপের ক্ষেত্রে ব্যাংকের স্টাফ ও সাব-স্টাফরা (যেকোনো প্রক্রিয়ায় নিয়োগকৃত/নিয়োজিত) ক্ষতিপূরণ হিসাবে পাবেন ২৫ লাখ টাকা।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যাংকে তার অন্য কোনো দায়-দেনার সঙ্গে উক্ত ক্ষতিপূরণের অর্থ সমন্বয় করা যাবে না। ক্ষতিপূরণ বর্তমানে প্রচলিত অন্য যেকোনো প্রজ্ঞাপন/আদেশ/নীতিমালার আওতায় কর্মকালীন মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর্থিক সহায়তা/অনুদানের অতিরিক্ত হিসেবে প্রদান করা হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয় বলেও ওই সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/জিএস/এনএস