Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চিকিৎসককে হয়রানির প্রতিবাদ জানাল বিএসএমএমইউ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৯ এপ্রিল ২০২১ ২৩:১৭

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ এপ্রিল থেকে চলছে সরকারি বিধিনিষেধ। এই সরকারি বিধিনিষেধ চলাকালে ১৮ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রেডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনিকে হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছে।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) এক প্রতিবাদলিপিতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, গত ১৮ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগে কর্মরত সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোছা. সাঈদা শওকত কর্মস্থল থেকে দায়িত্বপালন শেষে নিজ আবাসস্থলে ফেরত যাওয়ার পথে লকডাউনে পুলিশের টহলদলের সদস্যগণের সঙ্গে কথোপকথনের ভিডিও সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েছে।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ডা. সাঈদা শওকত দায়িত্ব পালন শেষে অত্র প্রতিষ্ঠানের লোগো সম্বলিত গাড়িতে আরোহিত অবস্থায় এলিফ্যান্ট রোডে পৌঁছার পর কর্তব্যরত পুলিশের টহল দল কর্তৃক তাকে থামানো হয়। পরিচয় চাওয়া হলে তিনি তার চিকিৎসক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত পরিচয় জানান। এরপরও ওই টহলদল কর্তৃক তার চিকিৎসক পরিচিতিকে ‘ভুয়া’ বলা হয় এবং অসৌজন্যমূলকভাবে তাকে গাড়ি থেকে নামতে বলা হয়। এ সময় তিনি তার নাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত অ্যাপ্রন পরিহিত অবস্থায় ছিলেন।

অ্যাপ্রন বিশ্বব্যাপী চিকিৎসকগণের পরিধেয় পেশাগত পোশাক হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ তাকে ভুয়া চিকিৎসক হিসাবে অভিহিত করেন। এর প্রেক্ষিতে ডা. সাঈদা শওকত বিক্ষুব্ধ হন এবং পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হন, যার খণ্ডকালীন ভিডিও সামাজিক মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবাদলিপিতে।

বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার, রমনা ডিভিশন এবং ওসি, নিউমার্কেট থানার সঙ্গে মৌখিক আলোচনা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে প্রতিবাদলিপিতে।

এতে বলা হয়, দেশের এই করোনা প্রাদুর্ভাবের ক্রান্তিলগ্নে বিএসএমএমইউ’সহ দেশের সকল হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবন বাজি রেখে রোগীর জীবন রক্ষার কাজে নিবেদিত রয়েছেন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু চিকিৎসক চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং অসংখ্য স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিনিয়ত করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই ক্রান্তিলগ্নে দেশ সেবায় নিবেদিত চিকিৎসককে অপমান ও অপদস্ত করার কারণে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। যা দেশব্যাপী চিকিৎসা সেবা ব্যাহত করার শঙ্কা সৃষ্টি করেছে।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, বিএসএমএমইউ’এ এই ঘটনার মাধ্যমে একজন মহিলা চিকিৎসককে হয়রানি করার ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে চলমান করোনা চিকিৎসার স্বার্থে স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে।

উল্লেখ্য, সরকারি বিধিনিষেধ চলার পঞ্চম দিনে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে চলা ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে আইডি কার্ড প্রদর্শন ও মুভমেন্ট পাস নিয়ে বাকবিতণ্ডা একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ দিন ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের চেকে পড়েন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি। সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসন অফিসের সহকারী কমিশনার শেখ মো. মামুনুর রশিদ আদালত পরিচালনা করছিলেন। নিউ মার্কেট থানার একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে একাধিক পুলিশ সদস্য সেখানে দায়িত্বরত ছিলেন। এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে নানা রকম আলোচনা ও সমালোচনা।

সারাবাংলা/এসবি/এনএস

করোনাভাইরাস চিকিৎসককে হয়রানি বিএসএমএমইউ এর প্রতিবাদ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর