Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চিকিৎসকদের হয়রানির প্রতিবাদ জানালো প্লাটফর্ম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২০ এপ্রিল ২০২১ ১৩:৪৮

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ এপ্রিল থেকে চলছে সরকারি বিধিনিষেধ। এই সরকারি বিধিনিষেধ চলাকালে ১৮ এপ্রিল চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রেডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনিকে হেনস্থার প্রতিবাদ জানিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন প্ল্যাটফর্ম অফ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল সোসাইটি ।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৯ এপ্রিল) প্ল্যাটফর্ম অফ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল সোসাইটির উপদেষ্টা মো. মুরাদ হোসেন মোল্লার সই করা এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, কোভিড ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বাংলাদেশে। প্রতিটি পরিসংখ্যান খারাপ হচ্ছে। হাসপাতাল, কোভিড ইউনিট, আইসিইউ থেকে পাওয়া খবরে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত মৃত্যুসংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি সতর্কতা জারি করে যাচ্ছে দায়িত্বশীল গণমাধ্যম। কোভিড আক্রান্ত হয়ে অসুস্থতা ও মৃত্যুর কারণে মুখ থুবড়ে পড়ছে সকল অর্থনৈতিক কার্যক্রম। এর তুলনা হতে পারে কেবল ভয়ানক এক যুদ্ধাবস্থার সাথে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে সরকার ‘লকডাউন’ জারি করেন যা সপ্তাহান্তে ‘কঠোর’ ঘোষণা করা হয়। এ সময় শুধুমাত্র জরুরি সেবা ও জরুরি অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে চলমান আছে। যে জন্যে এই লকডাউনের মতো কঠিন সিদ্ধান্তে যেতে হলো তা হলো কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা এবং কোভিড চিকিৎসা চলমান রাখা। দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের নেতৃত্বে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী যাবতীয় চিকিৎসা ও রোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চলার কথা। কিন্তু বিস্ময়করভাবে আমরা তার ব্যত্যয় হতে দেখলাম। যদিও কোনো আইনবলে কে প্রজ্ঞাপন জারি করে এই কঠিন দুর্যোগে নেতৃত্ব দেবেন তা আইন কর্তৃক নির্ধারিত।

বিবৃতিতে বলা হয়, জরুরি সেবা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্টদের সর্বাত্মক সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি হওয়ার কথা। এমনকি দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ নাগরিকদের যাতায়াতের ব্যাপারে বিধিনিষেধের কথা বললেও জরুরি সেবা সংশ্লিষ্টদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন হবার কথা ঘোষণা করে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা আশা করেছিলাম স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবেন ও তাদের দায়িত্ব পালন এবং নিজেদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে চলতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে অন্যান্য হয়রানির ঘটনা তুলে ধরে বলা হয়, অভাবনীয় ঘটনা গুলো ঘটতে শুরু করলো ‘কঠোর লকডাউন’ এর প্রথম দিন থেকেই। প্রথম দিনের ঘটনাবলী থেকে বুঝা যায় যে চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার নির্দেশনা মানা হয়নি। কুর্মিটোলা হাসপাতালের আইসিইউ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাস দুই ঘন্টা আটকে থাকার ঘটনা ন্যক্কারজনক। এর বাইরে যাদের যানবাহন সংকটে ব্যক্তিগত গাড়ি বা রিকশা ইত্যাদি চড়ে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে, তাদের পথ আটকে ‘নিয়ম’ দেখিয়ে জরিমানা করা, সময়ক্ষেপণ করা, পায়ে হেঁটে যেতে বাধ্য করা হলো।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিএসএমএমইউ এর একজন সহযোগী অধ্যাপক এর গাড়ি আটকে ‘নিয়ম’ অনুযায়ী আইডি কার্ড দেখতে চাওয়া হলো বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

এতে বলা হয়, গাড়িতে স্টিকার, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র থাকা সত্ত্বেও যুগ্ম সচিব সমমান পদমর্যাদার সহযোগী অধ্যাপক চিকিৎসককে ‘নিয়ম’ দেখিয়ে বিড়ম্বনায় ফেলা হলো। অথচ সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি চিকিৎসক পরিচয় পাওয়া মাত্রই স্যালুট দিয়ে যেতে দেওয়াই হতো স্বাভাবিক সৌজন্য। তাঁর চিকিৎসক পরিচয় নিশ্চিত হবার নানা উপায় ছিল। সবচেয়ে সহজ হলো বিএমডিসি ওয়েবসাইট চেক করা।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই সহযোগিতাটুকু না করে, সৌজন্য না দেখিয়ে তাঁর যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অধিকার কোনোভাবেই ছিল না। এই ধৃষ্টতা সমর্থনযোগ্য তো নয়ই বরং ধিক্কার‍যোগ্য। আমরা এই ঘটনাসহ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারি সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের যাতায়াত বিড়ম্বনার তীব্র নিন্দা জানাই। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাই। রাস্তায় বিড়ম্বনাকারীদের জবাবদিহি চাই।

লকডাউনের এতদিনেও কেন এ ধরনের অদ্ভূত পরিস্থিতি চলতে দেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চাই- বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

উল্লেখ্য, সরকারি বিধিনিষেধ চলার পঞ্চম দিনে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে চলা ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে আইডি কার্ড প্রদর্শন ও মুভমেন্ট পাস নিয়ে বাকবিতন্ডার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ দিন ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের চেকে পড়েন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসন অফিসের সহকারী কমিশনার শেখ মো. মামুনুর রশিদ আদালত পরিচালনা করছিলেন। নিউ মার্কেট থানার একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে একাধিক পুলিশ সদস্য সেখানে দায়িত্বরত ছিলেন। এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে নানা রকম আলোচনা ও সমালোচনা।

সারাবাংলা/এসবি/এএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বিপদসীমার ওপরে পানি, ৪৪ জলকপাট খোলা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৬

তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৪

সিটিকে সরিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

পদ্মায় কমেছে পানি, থামছে না ভাঙন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯

সম্পর্কিত খবর