১৬ দিনে ১৩৩ কোটি টাকার মাছ-মাংস, দুধ-ডিম বিক্রি
২০ এপ্রিল ২০২১ ২১:১০
ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ চলাকালেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ন্যায্য মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্যের ভ্রাম্যমাণ বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গত ৫ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ১৩৩ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৬৫ টাকা মূল্যের মাছ, গরুর মাংস, দুধ, ডিম, মুরগি ও বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় বিক্রিও হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহন, সরবরাহ ও বিপণন কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ।
মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, করোনার এই ভয়াবহ ক্রান্তিকালেও মন্ত্রণালয় এবং সারাদেশে মৎস্য অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতকরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ বিক্রি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। একইসঙ্গে এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট ডেইরি অ্যাসোসিয়েশন, পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, মৎস্যজীবী অ্যাসোসিয়েশনসহ প্রান্তিক খামারিরা ঝুঁকি নিয়েও এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখছেন। এতে একদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিরা যেমন ন্যায্য মূল্যে উৎপাদিত পণ্য সহজে বিপণন করে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারছেন, অন্যদিকে ভোক্তারা চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেও চাহিদা অনুযায়ী মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্য সহজে কিনতে পারছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ও পবিত্র রমজান মাসে জনসাধারণের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিত করতে দেশের আটটি বিভাগের ৬৪ জেলায় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্যের ভ্রাম্যমাণ বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ কাজে সম্পৃক্ত আমাদের মন্ত্রণালয় ও অধীন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডেইরি, পোল্ট্রি ও মৎস্য খামারি এবং এ কার্যক্রম জনগণের কাছে তুলে ধরার জন্য সারাদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর মৎস্য অধিদফতর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী