নওগাঁয় বোরো মৌসুমের ধান কাটা শুরু
২০ এপ্রিল ২০২১ ১৮:০৫
নওগাঁ: উদ্বৃত্ত ধান উৎপাদনের জেলা নওগাঁয় চলতি মৌসুমে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। বর্তমানে তিনটি উপজেলায় ধান কাটা চললেও কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে জেলায় পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। কৃষি বিভাগ আরও জানিয়েছে, এ বছর জেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর নওগাঁ’র উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শামসুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন, জেলার আত্রাই, রানীনগর ও সদর উপজেলার দক্ষিণে বিল এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। এসব এলাকা থেকে হেক্টরে ৪ দশমিক ২০ মেট্রিক টন চাল ফলনের প্রত্যাশা করছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলায় মোট ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ হাজার ৯৯০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ১৮ হাজার ৮শ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ১৮ হাজার ৪শ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ১১ হাজার ৭৫০ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ২৮ হাজার ৩৭০ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ১৯ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন, ধামইরহাট উপজেলায় ১৮ হাজার ৬০৫ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ৫ হাজার ২৩০
হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ৮ হাজার ৫০ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ১৯ হাজার ৯৩০ হেক্টর ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ২০ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে বোরো ধান।
জেলায় চলতি বছর উন্নত ফলনশীল জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে জিরাশাইল, ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-২৯, ব্রিধান-৮১, ব্রিধান-৫৮, কাটারীভোগসহ প্রায় ২৬ জাতের ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা। অন্যদিকে হাইব্রিড জাতের মধ্যে তেজ, এসএল-৮ এইচ, হিরনা-২, হিরা-৬ ও ঝলকসহ প্রায় ২৮ জাতের ধানের আবাদ করেছেন।
কৃষি বিভাগ বলছে, হেক্টর প্রতি ৪ দশমিক ২০ মেট্রিক টন হিসাবে এ বছর জেলায় মোট ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯২ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফদরের উপপরিচালক জানিয়েছেন, জেলার সব ধান কাটতে মোট ৪ লাখ ২৫ হাজার ৪০ জন শ্রমিকের প্রয়োজন। এর মধ্যে জেলায় স্থানীয়ভাবে শ্রমিক রয়েছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৮৫ জন। ঘাটতি রয়েছে আরও ৭৮ হাজার ৮৫৫ জন শ্রমিকের।
চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে শ্রমিক সংকট হবে কি না, এ বিষয়ে উপপরিচালক শামসুল ওয়াদুদ বলেন, এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে পরামর্শ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের নিজ নিজ উপজেলায় শ্রমিকের চাহিদাপত্র তৈরি করা হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিক দেশের অন্যান্য জেলা থেকে আনতেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আশা করা যায়, শ্রমিকের সংকট হবে না।
সারাবাংলা/টিআর