ঠাকুরগাঁও: বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার বড়পলাশবাড়ি ইউনিয়নের বাদামবাড়ি হাটে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে প্রতিপক্ষরা মোজাম্মেল হক (৪৫), আশরাফুল ও বাবুলকে পিটিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোজাম্মেল মারা যান। আহতরা হলেন, নিহত মোজাম্মেলের দুইভাই। নিহত মোজ্জাম্মেলের বাসা ওই ইউনিয়নের কইকরি গ্রামে।
আশরাফুল ও বাবুল অভিযোগ করেন, তাদের প্রতিবেশি এক মেয়ের সঙ্গে কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় প্রতিবেশি লতিফের। ঝগড়া বিবাদের কারণে ওই মেয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে চলে আসে। আর এই বিয়ের ঘটক ছিল মোজ্জামেল। এ নিয়ে প্রতিবেশি কামাল হোসেনের সঙ্গে বাকবিতণ্ড হয় মোজাম্মেলের। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে মিমাংসায় বসলে কামাল হোসেন ও মোজাম্মেলের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। এছাড়াও তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে মোজ্জাম্মেলকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট করে। পরে বাড়ির সামনে আশরাফুল ও বাবুলকেও মারপিট করে তারা।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার রকিবুল আলম বলেন মোজাম্মেলকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।