নতুন ধরন ও মিউটেশন সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে: স্বাস্থ্য অধিদফতর
২১ এপ্রিল ২০২১ ২০:৩২
ঢাকা: দেশে নতুন ধরণ ও মিউটেশনের কারণে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বুধবার (২১ এপ্রিল) অনলাইনে আয়োজিত এক বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন এ তথ্য জানান।
অনলাইন বুলেটিনে তিনি বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পার করছে দেশ। সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে। করোনার নতুন ধরন ও মিউটেশনের কারণে এই ভাইরাস বেশি ছড়াচ্ছে। যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই বয়স্ক। আমরা প্রতিদিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখতে পাচ্ছি, ষাটোর্ধ্বরাই বেশি মৃত্যুবরণ করছেন। তাদের মধ্যে ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনের রোগী বেশি। তবে করোনার নতুন যে ধরন এসেছে, তাতে তরুণরাও ব্যাপক হারে আক্রান্ত হচ্ছেন। সুতরাং জটিল এই রোগে আক্রান্ত বা আক্রান্ত নয় এটা দেখার কোনো সুযোগ নেই। সবাইকেই সচেতন হতে হবে। মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধিতে জোর দিতে হবে।’
ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি সংক্রমণটা কমতে শুরু করেছে। তবে মৃত্যুটা বাড়ছে। যার কারণ, কিছুদিন আগের বেপরোয়া চলাচল। দেশে এখন কঠোর লকডাউন চলছে। আশা করছি, আগামী দুই সপ্তাহ পরে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমে যাবে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন হলো অক্সিজেন সিলিন্ডার। সারাদেশে ২০/২৫ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নতুন যোগ হয়েছে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল। হাসপাতালটিতে ইতোমধ্যে ১৩৮ জন চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৮ জনই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। পর্যায়ক্রমে আরও চিকিৎসক দেওয়া হবে। যারা নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন, তারাই শুধু এই হাসপাতালে যাবেন। আর যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়ে কোথাও চিকিৎসাধীন আছেন, তারা এখানে এসে ভিড় জমাবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে শয্যা খালি নেই। এ তথ্যটি ভুল। এমআইএসে যোগাযোগ করলেই কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা, আইসিইউ ও আইসিইউ সমতুল্য শয্যা খালি আছে জানতে পারবেন। কেউ বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।’
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম